বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রামাগারে বসে সময় কাটাবেন- প্রধান বিচারপতি

 

নাটোর অফিস॥
সামাজিক বিচারের মাধ্যমে মামলা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান । তিনি বলেছেন, আমরা খুব চেষ্টা করছি মামলা শেষ করতে। সমাজে কিছু হলেই আমরা মামলা করতে চলে যাই। যদি এটা কমে যায়, তা হলে অনেকাংশে মামলা কমে যাবে। এত মামলা শেষ করতে পারেন না বিচারকরা। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি মামলার বিচার কাজ দ্রুত শেষ করার। আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোরে জেলা আইনজীবি সমিতির সর্ম্বধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেছেন।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, পরিসংখ্যান থেকে জেনেছি সারা বছরে নতুন দায়ের করা মামালার ৭৬/৭৮ শতাংশ শেষ করতে পারেনা। বিচারকেরা তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেন, কেউ কিন্তু অবহেলা করে বসে থাকেননা। সামজিক ভাবে আমরা যদি সচেতনতা বাড়াই তাহলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মামলা হবে না। তাহলে মামলা দিন দিন কমে যাবে। তিনি বলেন, বিচার প্রার্থীরা আদালতে হাজিরা শেষে বিশ্রামাগামে আসবেন। বিচারপ্রার্থীদের বসার ব্যবস্থাসহ ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট ও গ্রোসারি দোকান ব্যবস্থা রয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সব মানুষের আইনের আশ্রয়ের অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতের কথা ভেবেছেন। তিনি চান সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। সেই অধিকার প্রয়োগ করতে মানুষ আদালতে আসেন। আদালতে এসে তাদের যেন কষ্ট না হয়। সেজন্য এ বিশ্রামাগার নিমার্ণ করছেন। সারা বাংলাদেশে ৬৪ জেলায় এই বিশ্রামাগার নির্মানের প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী। দুই একটি ছাড়া প্রায় সবগুলো হয়ে গেছে। এ বিশ্রামাগারে বিচারপ্রার্থীরা এসে সময় কাটাতে পারবেন। আগে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্রামাগার ছিল না। বিচারপ্রার্থী এসে বাড়ি চলে যেত। কোথাও বসার জায়গা ছিল না। এখন তারা ইচ্ছা করলেই বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। অনেক সময় বিচার কাজ হতে দেরি হয়, সেক্ষেত্রে এ বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রামাগারে বসে সময় কাটাবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট,হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস, রেজিষ্টার মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিষ্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান,নাটোর জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু,জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞ্রা,পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম,পিপি সিরাজুল ইসলামসহ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান বিচারপ্রতি নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রঙ্গনে বিচার প্রার্থীদের জন্য সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে প্রধান বিচারপ্রতি আদালত চত্তরে দুটি গাছের চারা রোপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *