নাটোর অফিস ॥
নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সুবেল (২৭) নামে একজন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। আহত সুবেল সহ বাস মালিক সমিতির নিয়োজিত চেইন মাষ্টার নীরেন্দ্র নাথকে(৪৫)কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অন্যরা হলেন আবুল হোসেন (৪৫), সুরুজ মিয়া (৪০), কিরন হোসেন (৫০), , হিমেল (২৯)ও খোকা (২৮)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ঘটনার জন্য বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ বাবুল আখতারকে দায়ী করেছে জেলা বাস মালিক সমিতি। রাতেই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক বাস কাউন্টারে তালা লাগিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিক সমিতি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে পরে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। গুলিতে আহত সুবেল আরপি রোকেয়া পরিবহন মালিকের ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতির দু’পক্ষের মধ্য মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আরপি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ভাতিজা সুবেল গুলিবদ্ধসহ অন্ত ৬ আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নাটোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া বলেন, নাটোরে সাড়ে ৩০০ বাস মালিক রয়েছেন। সমিতির প্রতি সদস্যকে সর্ব্বোচ্চ ১৫টি করে গাড়ি নামানোর অনুমতি রয়েছে। তবে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবর রহমান এ নিয়ম অমান্য করে ২০টির বেশী বাস নামান। এ নিয়ে সমিতির সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ ছিলো। সম্প্রতি বিষয়টি তাকে জানানো হয়। এরই জেরে রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবর ও নাবিলা পরিবহনের মালিক বাবুল আখতার ও রাজকীয় পরিবহনের ম্যানেজার খোকার নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের বহিরাগত সন্ত্রাসী শুক্রবার রাতে হরিশপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় সমিতির চেইন মাষ্টার নীরেন্দ্র নাথকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে আর পি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ভাতিজা সুবেলের পায়ে গুলি করে চলে যায় তারা। এসময় বাধা দিতে গিয়ে অন্য আরো ৪ জন আহত হয়। তারা চলে যাওয়ার সময় তাদের কাজে বাধাদানকারীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এতে বাস মালিকরা সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করেছেন অন্য মালিকরা। এঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত ঘোষ জানান, একজন গুলিবিদ্ধ এবং কুপিয়ে আহত একজনকে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।