নাটোর অফিস ॥
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশের জনগণকে পাঁচটি মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। দেশের জনগণ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সুবিধা পেলে তাদের আর কিছু চাওয়ার থাকে না। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু এ বিষয়টা ৫৩ বছর আগে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৫৩ বছর আগের পরিকল্পনা আজ তা সারাবিশ্ব গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে স্মার্ট হচ্ছে কৃষি, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
শনিবার চলনবিলের সাতপুকুরিয়ায় পৌনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে বিএডিসি’র ফসল সংগ্রহ ও মজুদ কেন্দ্র এবং থ্রেশিং ফ্লোর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক এ কথা বলেন।
বিএডিসি নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হা-মীম তাবাসসুম প্রভা এবং সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান।
সিংড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার হা-মীম তাবাসসুম প্রভা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজি, ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন মামুনসহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ।
পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই আজ আমরা কৃষিতে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। সার, বীজ আর সেচ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা পাচ্ছেন দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষিতে শ্রম সংকটের নিরসনে পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টর, পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আর প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কৃষির উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে। চলনবিল পরিণত হয়েছে শস্য ভান্ডারে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষিসহ দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের মানুষকে সুশাসন উপহার দিয়েছেন। শতভাগ বিদ্যুৎ আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা গ্রহন করে গ্রামীণ জনপদ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক সুসংহত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারনে জীবনযাত্রার মান এখন সহজ ও সুন্দর। এখন আর চলনবিল অনগ্রসর জনপদ নয়, বিদ্যুৎহীন আর নিরাপত্তাহীনতায় মানুষকে আর অসহায় জীবন যাপন করতে হয় না। দেশের উন্নয়নের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ক্লিনিক থেকে ৩৪ রকমের ওষুধ সাধারণ মানুষকে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এসে তা বন্ধ করে দেয়। হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক অকেজো হয়ে পড়ে।
এরআগে প্রতিমন্ত্রী সাতপুকুরিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ছয় কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিমন্ত্রী ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুনঃনির্মিত ডাহিয়া বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী দিনব্যাপী কর্মসূচীতে সকালে সিংড়াতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ১৪৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন।