নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করছেন বাড়ি – নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত তিনি

নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মুনসুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবগত করলেও বাড়ি নির্মান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত মুনসুর রহমান উপজেলার পৌর এলাকার নড়ইগাছা মহল্লার মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে এবং তিনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। তাই আইনকে তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মান কাজ চলমান রেখেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভুগি সহ এলাকা বাসীর। অভিযোগকারী একই এলাকার মাছিমপুর মহল্লার মৃত নাদের আলীর ছেলে মুক্তার হোসেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে মাছিমপুর এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মুনসুর রহমান তার ফসলি জমির পাশে^ জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণের জন্য। কিন্তু তিনি জমির সীমানা নির্ধারণ না করেই আমার জমির ৩-৪ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তাকে বাড়ির কাজ করতে নিষেধ করলে সে তার লোকজন দিয়ে আমাকে মারধরের জন্য আসে। পরে আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হলে ওই জমিতে আদালত ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার পুলিশ তাকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অবগত করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। বরং তিনি সচিবালয়ে চাকুরি করেন তার অনেক ক্ষমতা এমন বলে মামলা ও হামলার হুমকি প্রদান করছেন মুক্তারকে।
এদিকে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে ঢাকাসহ গ্রামে স্ত্রীর নামে ও বেনামে এত সম্পদ সহ বিলাশবহুল জীবনযাপন করছেন কিভাবে এমন প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে মুনসুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই জমির মালিক না। ওটা আমার স্ত্রীর নামে ক্রয়কৃত জমি। আমাদের ক্রয়কৃত জমিতেই বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। হুমকি প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব মিথ্যা কথা। তবে তিনি কোন সচিবালয়ে এবং কোন পদে কর্মরত আছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন জমি নিয়ে সমস্যা জমির বিষয়ে কথা বলেন চাকুরির বিষয়ে কেন জানতে চাইছেন। পুনরায় তাকে চাকুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ একরামুল হক, আবুল কালাম , এমদাদুল হক, গোলাম রসূল , আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবগত করা হয়েছে। তবে তার পরেও যদি তারা আদলতকে অবমাননা করে তবে অভিযোগকারীকে থানায় জিডি করার জন্য বলেন । তাহলে তারা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলেও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *