নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক থামিয়ে গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল একটি ট্রাক দিয়ে গরু বাহি ওই ট্রাকের গতিরোধ করে ট্রাক থেকে ৪টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় ডাকাতদের হামলায় দবির উদ্দিন (৫৩) নামে এক গরু ব্যবসায়ী আহত হন। শনিবার রাত ১ টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। াাহত দবির পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সারিকাজি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। পরে গরুবাহি ট্রাকসহ ট্রাকের চালক পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা মধুরাপুর গ্রামের মৃত মোতাহার আলীর ছেলে আব্দুল আলীম (৩১) ও চালকের সহকারী আনকুটিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান শিকদারের ছেলে স্বাধীন হোসেনকে (২০) আটক করা হয়।
আহত দবির উদ্দিন বলেন, উপজেলার রাজাপুর বাজারের শাজাহান কবির সাজুর চারটি কুরবানির গরু বিক্রি করার জন্য ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর অপর একটি ট্রাক এসে সেখানে থামে। তখন ট্রাক নিচের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয় আমাদের। তারা আমাদের ট্রাকের গরুগুলোকে ওই ট্রাকে তুলতে থাকে। আমি বাধা দিলে আমার চোখে মুখে শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে মারপিট করে গাছের সাথে বেধে পিস্তল ধরে রাখে। পরে ট্রাক নিয়ে চলে গেলে আমি মুখ দিয়ে হাতের বাঁধন খুলে পাশের বাড়িতে যাই। তারাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ট্রাক থামিয়ে চালক ও চালকের সহকারি দুজনেই কিছুটা দুরে চলে যায়। এই ঘটনার সাথে তারা জড়িত বলে মনে হয়।
গরুর মালিক শাজাহান কবির সাজু জানান, কুরবানির হাটে বিক্রির চারটি গরু ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে ঢাকায নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শনিবার রাতে দবির উদ্দিনের মাধ্যমে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা চৌধুরীপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিমুদ্দিনের ট্রাকে করে ঢাকাতে বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছিলাম। আমার ধারনা ট্রাকের চালক ও তার সহকারীকে ভাল করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার গরু উদ্ধার করা যাবে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি শাফিউল আযম খাঁন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার পক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত গরুগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হব।