নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে ভয়ংকর ড্রাক (স্কোপোলামিন) শয়তানের নিঃশ্বাস ব্যবহার করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২টায় উপজেলার কাছিকাটা বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। ইজিবাইক চালক মোঃ একরামুল হক (৩৮) উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর এলাকার মৃত-ইয়ার মন্ডলের ছেলে।
একরামুল হকের শ্যালক মোঃ এনামুল হোসেন জানান,‘প্রতিদিনের মত শুক্রবার সকাল ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন একরামুল। কাছিকাটা, মইছুটি, মান্নাননগর, তাড়াশ, চাঁচকৈড় এলাকা দিয়ে তিনি বেশিরভাগ সময় ভাড়ায় ইজিবাইক চালিয়ে থাকেন। দুপুর আনুমানিক ২টার সময় হাজিরহাট এলাকা থেকে ইজিবাইক নিয়ে কাছিকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কাছিকাটা গ্যাস পাম্প এলাকায় পৌছালে ইজিবাইকে কোন যাত্রী না থাকার সুযোগে দুইজন অজ্ঞাত পথচারী গাড়ি থামাতে বলেন। একপর্যায় ওই দুই ব্যক্তি একরামুল হকের নাকের সামনে সাদা পাওডারের মত ছুড়ে মারে। একপর্যায় একরামুল মাটিতে পড়ে যায়। তখন ছিনতাইকারীরা ইজিবাইক নিয়ে চলে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর স্থানীয় লোকজন মাটিতে একরামুলকে পরে থাকতে দেখলে তৎখনাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার দুলাভাইয়ের ইজিবাইক ছিনতাই হওয়ার কারনে পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পরেছেন। এখন সংসার কিভাবে চলবে! আর ছেলের পড়াশোনার খরচ কিভাবে জোগার করবে!।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক চৈতি মুন্সি বলেন,‘অজ্ঞান অবস্থায় একরামুল হক নামের এক ইজিবাইক চালক জরুরী বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শ্বাস নেওয়ার সময় তার নাকের সামনে কিছু একটা দেওয়া হয়েছিলো। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ভর্তি করে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ((ওসি) মোঃ উজ্জল হোসেন জানান,‘ইজিবাইক চালক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জ্ঞান ফিরলে অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’