নাটোর অফিস ॥
নাটোরে ঘুর্নিঝড় রিমালের প্রভাবে একটানা প্রায় ১৩ ঘন্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল। সোমবার বিকেল ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়নি। নাটোরের বিদ্যুত বিভাগ জানায় রিমাল ঘুর্নিঝড়ের সময় বাতাসের গতি বেগের কারনে বিদ্যু সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এদিকে রিমাল ঝড়ের প্রভাবে জেলার বেশ কিছু এলাকার বড় বড় গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর উপড়ে পড়ে। এতে উঠতি ফসল ভুট্টা ও আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রবল বাতাসের কারনে আম ঝড়ে পড়ে। ভুট্টার গাছ হেলে পড়েছে। তবে ঘুর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে আসছে বুধবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপে বড়াইগ্রাম এবং গুরুদাসপুর উপজেলার ১৭২ টি ভোট কেন্দ্রের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যথসময়ে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে জেলা প্রশাসন দাবি করেছে। এদিকে ঘুর্নিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষয় ক্ষতি নিরুপরন মাঠে কাজ করছে জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞা নিজে কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ সুত্রে জানা যায়, রিমাল ঝড়ের তান্ডবে গুরুদাসপুর ফিডারের হয়বতপুর এলাকায় ৩৩ কেভি ভোল্ট তারের ওপর একটি বড় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে। এছাড়া ৪০ টি থেকে ৪৫টি স্থানে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২-এর জিম ফকরুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে রিমাল ঝড় শুরু হওয়ার পর দুর্ঘটনা রোধে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ঝড়ের তীব্র বাতাসের কারনে প্রায় ৫০টি এলাকায় বিদ্যুতের খুটি উপড়ে যায়। এছাড়া ২/১টি স্থান তারের ওপর গাছ বা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। এসব স্থানে সকাল থেকেই লাইন মেরামতের কাজ করা হয়। কাজ সম্পন্ন করার হলেও ঝুকি এড়ানোর জন্য বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়নি। রিমাল ঝড়ের বাতাসে লাইনে র্স্পাকিং হয়ে ঝুকিপুর্ন হচ্ছে। বাতাসের গতিবিধি দেখে লাইন চালু করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক লুৎফুন নাহার জানান, রিমাল ঝড়ে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে উঠতি ফসল হিসেবে আম ও খরিপ-১ ভুট্টার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। গাছ হেলে পড়েছে। এতে ফলন কম হওয়া শংকা রয়েছে। এছাড়া আম ঝড়ে পড়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞা বলেন, রিমাল ঘুর্নি ঝড়ে নাটোরে তেমন ক্ষতি হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় গাছ ও গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে একটানা তাপদহের পর প্রশান্তি ঝড়ানো বৃষ্টি হয়েছে। তিনি নিজে কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ঘুর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ১০০ টি এবং গুরুদাসপুর উপজেলার ৭২ টি ভোট কেন্দ্রের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ২৯ তারিখ এই দুটি উপজেলার সকল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।