নাটোর অফিস ॥
পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে মাহফুজ হোসেন(২৫) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত ওই ছাত্রলীগে কর্মীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এস. আই উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মাহফুজ হোসেন সদর উপজেলার দোলেরভাগ গ্রামের আব্দুলের ছেলে। সে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার চন্দ্রকলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ মাঠ থেকে খেলাধুলা করে বাড়ি ফিরছিলেন মাহফুজ হোসেন। পথে চন্দ্রকলা এস আই উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মাহফুজের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। হামলাকারীরা তার পায়ের বিভিন্ন অংশে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) রেফার্ড করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহফুজ হোসেন বলেন, খেলাধুলা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। হাইস্কুলের কাছাকাছি যেতেই মো. বাবু ও মেহেদী সহ ১০-১৫ আমার পথরোধ করে এবং আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা সকলেই সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক ।
স্থানীয়রা জানায়, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ইতিপুর্বে সংসদ নির্বাচনের পর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক মো. বাবুকে মারধরের অভিযোগে করা মামলার আসামি ছিলেন মাহফুজ। ওই ঘটনার জেরেই মাহফুজের ওপরে হামলা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
এব্যাপারে বাবু ও মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নাটোর সদর থনার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এর আগে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে আজকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের সনাক্ত সহ আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।