নাটোর অফিস॥
নাটোরে লালপুরে উপজেলার গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুর রহমান মঞ্জুকে গুলি করে হত্যার মামলায় এজাহারনামীয় আরো দু’জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-লালপুর উপজেলার শিবপুর (খাঁ পাড়া) এলাকার মো. কামরুলের ছেলে মো. রায়হান (২৯) এবং একই এলাকার মো. হাসান আলীর ছেলে মো. তামিম (২০)। আজ রোববার (৫ মে) তাদেরকে আদালতরে মাধ্যমে নাটোর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
লালপুর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার ঢাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় দু’জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় এজাহারনামীয় মোট ৬জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর সভার আজিমনগর রেলস্টশন এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে নিহতর বড় ভাই মাসুদ রানা বুধবার ( ১ম) বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০-১৩ বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করেন।
নিহত মঞ্জুর রহমান মঞ্জু গোপালপুর পৌর এলাকার বাহাদিপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে গোপালপুর আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রবিউলেল কনফেকশনারীর দোকানের সামনে বসে ছিলেন মঞ্জু। এসময় দুটি মোটরসাইকেলে ৫-৬ মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা সেখানে উপস্থিত হয়ে মুঞ্জুর মাথায় ও পেটে গুলি বর্ষন করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এতে গুলিবৃদ্ধহয়ে ঘটনাস্থলে মঞ্জুর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা পুলিশ।
ঘটনার পরে পুলিশ ও নিহতের বড় ভাই গোপালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাসুদ রানা জানিয়েছিলো, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর গোপালপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহারুল ইসলামকে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ১ নম্বর ফটকের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই হত্যা মামলার ২ নম্বার আসামী ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা মঞ্জুরুল রহমান মঞ্জু। ‘পুর্ব বিরোধের জেরে মঞ্জুরকে হত্যা করা হতে পারে।
লালপুর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগ মঞ্জু হত্যার ঘটনায় নিহতর বড় ভাই মাসুদ রানা বুধবার ( ১ম) বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০-১৩ বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করেন। ওইদিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ এজাহারনামীয় আরো দু’জনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।