নাটোর অফিস।।
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু হত্যা মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে লালপুর থানা পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার (১ মে ) দুপুরে নিহতের বড় ভাই গোপালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাসুদ রানা বাদী হয়ে লালপুর থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
নিহত মুঞ্জুর ভাই গোপালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাসুদ রানা জানান, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর গোপালপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহারুল ইসলামকে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ১ নম্বর ফটকের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি আরো বলেন, ওই হত্যা মামলায় আমার তিন ভাই আসামী। আমি এক নম্বার আসামী, আমার মেজো ভাই মুঞ্জু ছিলো দুই নাম্বার আসামী। আমার ছোট ভাই মোস্তাক তিন নম্বার আসামী। এই পূর্ব বিরোধের জরেই গতকাল ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ এসে মঞ্জুর মাথায় ও পেটেসহ মোট ৪টি গুলি করে পালিয়ে যায় এবং মঞ্জুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ ঘটনায় গোপালপুর পৌর এলাকার টুমন, সুমন, জাহারুলের ছেলে জাহিদ, ভাই রেজাউল এবং ভাতিজা আলামিন ও তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ ১৬ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলা করেছি। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।’
লালপুর থানার (ওসি) মো. নাছিম আহমেদ গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুপুরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাঁকি আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে পরিস্থিত স্বাভাবিক আছে।’
ওসি আরো জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে গোপালপুর আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলেন মুঞ্জুর ইসলাম মুঞ্জু। এসময় দুটি মোটরসাইকেলে ৫-৬ মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা সেখানে উপস্থিত হয়ে গুলি করে মঞ্জুকে। এতে ঘটনাস্থলে মুঞ্জুর মৃত্যু হয়।’
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর গোপালপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহারুল ইসলামকে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ১ নম্বর ফটকের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা মুঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু।