নাটোর অফিস ।। একই গ্রামে বসবাস দুজনের। দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসছিলো পরীকায় প্রেম। এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলো প্রেমিক এমদাদুল ইসলাম (৪২)।
পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পরকীয় প্রেমিক এমদাদুল ইসলামকে অপহরনের পরে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকা মনি খাতুন (২৭) নামের এক সন্তানের জননী বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নাটোরের লালপুর উপজেলার উত্তর লালপুর এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় লালপুর থানায় মামলা হলে অভিযুক্ত প্রেমিকা মনি খাতুন (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে লালপুর থানা পুলিশ।
বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন প্রেমিক এমদাদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার রামানান্দপুর গ্রামের মৃত সের আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, এমদাদুল ইসলাম দুই সন্তানের জনক ও পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। সে একই গ্রামের মনি খাতুন (২৭) নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জরিয়ে পরেন। গত ৬মাস আগে এই প্রেমিক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী। ঐ সময় এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রেমিক এমদাদুল।
ঈদে বাড়ি ফেরার পরে আজ সকাল ৬টার দিকে এমদাদুলকে প্রেমিকা মনি ও তার বাবাসহ ৩—৪ জন মিলে সবুজ সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে। পরে তারা লালপুর পুরাতন বাজার পিয়াস ডাক্তারের বাড়ির সামনে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে এমদাদুলকে ।
এসময় এমদাদুল চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় এমদাদুলকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এমদাদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
লালপুর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’