নাটোরঃ সিংড়াবাসীর কাছে বাস্তবে ধরা দেয়া স্বপ্নের নাম উন্নয়ন। অবহেলিত জনপদের জন্য ৩৭ বছর ভাবেনি অন্য দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। উন্নয়নের মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে তারা হরণ করেছে সাধারণ মানুষের নায্য প্রাপ্য। পদে পদে বঞ্চিত সিংড়াবাসীর বঞ্চনার অভিশাপ মোচন শুরু করেছে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে। বয়সে কণিষ্ঠ প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলককে ভোটে জ্যেষ্ঠ করে তারা সংসদে পাঠালে খুলে যায় উন্নয়নের দুয়ার। তখন থেকেই সিংড়াবাসীর আপনজন হয়ে উঠেন সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক। কোন ধরণের ব্যক্তিক অর্জনের কথা চিন্তা না করে অবহেলিত সিংড়ার জন্য আনা শুরু করেন প্রকল্প-বরাদ্দ। শুরু হয় পিছিয়ে পড়া সিংড়ার সত্যিকারের উন্নয়ন যজ্ঞ। মাত্র পাঁচ বছরেই দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ শুরু হয় সিংড়ায়।
অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভেতর দিয়ে এসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো সম্পাদিত হয়েছে যার ফলে একটিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। ফলে নির্দিষ্টি সময়ের আগেই সিংড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছেছে বিদ্যুত, স্কুল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, বিলের কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে, রাস্তাঘাট নির্মিত হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
সিংড়াবাসী মনে করে এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। তাই আগামী দিনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা প্রয়োজন। তাই কোন রাজনৈতিক দলের মিথ্যে আবেগের বশবর্তী হয়ে নয়, নিজেদের প্রয়োজনের নীরিখেই ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করবে সিংড়াবাসী।