নাটোরে অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে ইসলামী জলসার নামে চাঁদা উঠানোকে কেন্দ্র করে নাজমুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহত নাজমুল হোসেনকে (৪০) স্থাণীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থাণীয় সূত্রে জানা যায়, মহিষভাঙ্গা দক্ষিণপাড়ায় একটি ইসলামী জলসা করা হবে মর্মে বনপাড়া বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে চাাঁদ উঠাতে নামে মহিষভাঙ্গা ও মালিপাড়ার কতিপয় যুবক। এসময় মালিপাড়ার কিছু যুবক প্রতিবাদ করে জানায় সেখানে এধরনে কোন জলসার আয়োজন নাই। বিতরণকৃত পোষ্টার ভূয়া। এটা অপর এক যুবক ভিডিও করে চাঁদা উত্তোলনকারীদের ছবিসহ ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। ওই ভিডিও আবার শেয়ার করেন বনপাড়া হীরা মার্কেটের কাপড়র ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহিষভাঙ্গার শাকিব, নাজমুল, পাপ্পু, রাপ্পু দুপুরে নাজমুলকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে মালিপাড়া রোডে এনে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে ব্যবস্য়াীরা এগিয়ে এলে তারা সড়ে পরে। এঘটনায় ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দোকান বন্ধ করে সড়কে নেমে নাটোর-পাবনা সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদেরকে বিচারের আশ^াস দিলে অবরোধ তুলে নেয় ব্যবসায়ীরা।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল শরীফ আল রাজীব, ওসি শফিউল আজম, আইসি সিরাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি বিশাল টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান তারেক, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান গাজী, ব্যবসায়ী হায়দার আলী মুক্তা, সাইফুল ইসলাম অবিলম্বে দোয়ীদের ঘেফতার ও বিচার দাবী করেন।
এসম খবর পেয়ে স্থাণীয় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটারোয়ারী ঘটনাস্থলে এসে ব্যবসায়ীদের সাথে একাতœতা প্রকাশ করে এসকল ঘটনার জন্য বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনকে অভিযুক্ত করেন। একই সাথে অবলিম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। আর এমপি মহোদয় জনশূন্য রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই এই ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে সস্তা রাজনীতির চেষ্টা করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আরও তদন্ত করে চুড়ান্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।