নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে ৬ যুবককে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ রোববার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলার রায় ঘোষনা করেন বিচারক। দন্ডপ্রাপ্তরা হল নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সুজাব আলী, আফেন মুন্সির ছেলে সুমন আলী, রকমান আলীর ছেলে মোঃ রফিক, আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ ডাব্লু ও একই এলাকার আতাহার আল এবং রাজশাহীর পুঠিয়ার মতিউর রহমানের ছেলে ইমদাদুল হক।
নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৯ সালের ৫ মে জোয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে জোর করে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায় সুজাব আলী নামে স্থানীয় এক বখাটে যুবক। তাকে অপহরনের পর বাড়ীর পাশের একটি কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় । এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন ৬ মে সুজাবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সুজাব আলী ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে এ ঘটরায় অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৯ সালের ১২ মে অভিযুক্তরা একটি মাইক্রোবাসে করে জোর তুলে নিয়ে যায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলেও আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় থাকায় কেউ বাধা দিতে পারেনি। পরে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত ৬ যুবককে গ্রেফতার করে। এর পর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।