নাটোর: দুর্জয় তারুণ্যই সকল শক্তির আধার। দৃপ্ত প্রত্যয় আর আত্নবিশ্বাসে ভরপুর তরুণরাই আগামী দিনের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়াকে আধুনিকভাবে বিনির্মাণের কারিগর। তাদের তেজ ও অমিয় শক্তির যোগ্য পুরোধা তরুণ নেতা জুনাইদ আহমেদ পলক। খুশি আর স্বপ্নের মেজাজে বিল এলাকার কর্মঠ, হাস্বোজ্জ্বল ও স্বপ্নবাজ তরুণদের পছন্দের রাজ্যের মুকুটহীন সম্রাট জুনাইদ আহমেদ পলক।
সিংড়ায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অন্যতম ঝান্ডাবাহক হল তরুণ সমাজ। একবিংশ শতাব্দীরর শুরুতে জন্ম নিয়ে বেড়ে ওঠা এসব তরুণ তরুণীরা কৈশরেই পেয়েছে অনেক কিছু। শৈশব তাদের আলোকবঞ্চিত থাকলেও কৈশর তাদের আলোকিত। তারা ২০১৫ সালের পর থেকেই পেয়েছে প্রযুক্তির সুবিধা। এছাড়া বিনামূল্যের বই, বৃত্তিসহ নানা ধরণের প্রণোদণায় তারা বর্তমান সরকারের প্রসংসাতেই পঞ্চমুখ।
কিশোরী রাজিয়া খাতুনের মতে, জন্মের পর থেকে তাদের বাড়িতে আলো জ্বলেনি কোনদিন, তবে আলো জ্বলেছে যখন জুনাইদ আহমেদ পলক নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। অন্ধকার সেই দিনগুলির কথা মনে হলে রাজিয়ার আক্ষেপ হয় ভোটার হবার বয়স না হওয়ায়।
সিংড়া গোলই আফরোজ কলেজ মাঠে আড্ডা দেয়া রবিউল, মানিক, সুবল, আরাফত ও বকুলের মতে, পলক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌছে দেয়ায় বিশ্ব তাদের হাতের মুঠোয়। কোন জিনিস জানার জন্য কারো উপর নির্ভর করতে হয় না পলকের এনে দেয়া ইন্টারনেটের জন্য। এজন্য হলেও পলককে জাতির দরকার।
অনার্স পাশ সুজন ইসলাম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবে। তার মতে, একজন মানুষ হিসেবে পলকের উদারতা, ন্যায়পরায়নতা, মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের মিশেলের কারণে তিনি সকলের অনুকরণীয়। এমন গুণাবলির সন্নিবেশ যে নেতার, তার জন্য নিঃস্বার্থভাবে সকলের কাজ করা উচিত। তাছাড়া, তিনি যা দিয়েছেন আমাদের তা আমাদের পেতে আরো বেশি সময় লাগত বা হয়তো পাওয়াই হতো না অন্যকেউ হলে।
চৌগ্রাম ইউনিয়নের তরুণ আব্দুল মোমিন বলেন, বিবেচনায় গেলে বিবেচক মাত্রই পলক ভিন্ন অন্য কারো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে না। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ পলককে অপছন্দ করলেও সমাজের দৃশ্যমান উন্নয়নের স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থ পরিত্যাগ করাটা উচিত।
সিংড়ার দুর্জয় তারুণ্যের ভাবনায় ইতিবাচকভাবে স্থান করে নিয়েছেন জুনাইদ আহমদ পলক। আসন্ন নির্বাচনে এই তরুণ সমাজ পলককে প্রচারণায় অনেকটা এগিয়ে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।