নাটোর অফিস॥
উত্তরাঞ্চলের প্রাচীণতম রেল ষ্টেশনে পানি সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। গত প্রায় ৬ মাস ধরে এই ষ্টেশনে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন যাত্রি সাধারনদের অসহনীয় দুর্ভোগ সহ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ষ্টেশন প্লাটফরমটি আধুনিকায়ন করা হলেও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে একটি মাত্র নলকুপ বাসানো থাকলেও সেটিও অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এই স্টেশন হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রি রাজধানি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে করে যাতায়াত করে থাকেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, নাটোর রেল ষ্টেশনটি উত্তরাঞ্চলের একটি প্রাচীন ও ব্যস্ততম রেল ষ্টেশন। ১৮৭৮ সালে নাটোর ষ্টেশন স্থাপিত হয়। স্টেশনটি স্থাপিত রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার মধ্যবর্তী স্থানে। এ কারণে স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের ষ্টেশন গুলোর মধ্যে রাজস্ব আয়ের দিক থেকেও নাটোর ষ্টেশন তৃতীয়। কিন্তু যাত্রীসেবার মান খুবই নিন্ম। যাত্রীদের টয়লেটগুলোর অধিকাংশ ব্যবহারের অনুপযোগী । এই ষ্টেশনের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি সংকট। এই স্টেশনে পানির চরম সংকট চলছে। কবছর আগে ষ্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হলেও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। একটি মাত্র নলকুপ থাকলেও গত ৬ মাস ধরে তা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ষ্টেশন এলাকায় সরকারী কোন নলকুপ নেই। যাত্রী বিশ্রামাগারে সব সময় পানি মেলে না। ফলে এই ষ্টেশনের যাত্রিদের দুর্ভোগ সহ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকা যাবেন। তার স্ত্রী স্টেশনে পানি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বোতল পানি কিনতে হয়েছে। ঢাকাগামী অপর এক যাত্রি বলেন,বাথ রুমে যাওয়ার আগে তাকে বোতলজাত পানি কিনে ভিতরে যেতে হয়েছে।
খুলনাগামী কলেজ শিক্ষার্থী এক যাত্রি বলেন, ষ্টেশন প্লাট ফরম এলাকায় কোন পানির ব্যবস্থা নেই। ওয়াশ ব্লকটি অচল হওয়ায় হাত ধোয়ার জন্য হলেও পানি কিনতে হয়। স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অনেককেই পানির জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে হয়।
নাটোর রেল ষ্টেশন সুত্রে জানাযায়, নাটোরের এই স্টেশন হয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, মেইল, সাধারণ মেইল, মালবাহিসহ প্রায় ৪০টি ট্রেন চলাচল করে। লালমনিরহাট,পঞ্চগড়,রংপুর,লালমরিহাট,বগুড়া,গাইবান্ধা, দিনাজপুর, খুলনা ও ঢাকা পথে প্রতিদিন ৩৪টি বড গেজ ও মিটার গেজ ট্রেন চলাচল করে। ফলে দিনের ২৪ ঘন্টাই স্টেশনে যাত্রীদের ভির লেগেই থাকে।
নাটোর স্টেশন মাষ্টার কামরুন নাহার বেগম বলেন, পানির নলকুপটি বহুদিন আগের। বিকল হয়ে যাওয়া নলকুপটি মেরামত করলেও বার বার নষ্ট হয়ে যায়। পানির সমস্যাসহ স্টেশনের বিভিন্ন সমস্যার কথা লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। পানি সংকট থাকায় রেলের স্টাফদেরও নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন,নাটোর রেল ষ্টেশনে পানিয় জলের সংকটের বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেননা। পানি সংকট কাটাতে খুব শীঘ্রই ষ্টেশনে অধীক সংখ্যক নলকুপ স্থাপন সহ পানির ট্যাব বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।