নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৬ বছরের শিশুপুত্র ও নগদ ৫৫ লাখ টাকা সহ ৮০ লাখ টাকার সম্পদ ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন আছমা খাতুন উর্মি (২৬) নামে নির্যাতিত এক মা। স্বামীর প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া ওই মা সাংবাদিক সম্মেলন করে এই আকুতি জানান। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বনপাড়াস্থ একটি ক্যাফে হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আছমা খাতুন উমি তার স্বামী উপজেলার নগর ধানাইদহ গ্রামের আব্দুল আওয়াল এর বিরুদ্ধে নির্যাতন, অনুমতি বিহীন দ্বিতীয় বিয়ে, ৬ বছরের পুত্র সন্তানকে আটকে রেখে ঘর থেকে বের করে দেওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে অপবাদ দেওয়া, মায়ের দেওয়া নগদ ৫৫ লক্ষ টাকা এবং হাইয়েজ গাড়ি, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রপত্র সহ ৮০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে আতœসাৎ করার অভিযোগ করেন। এ সময় আছমা খাতুন উর্মির মা জোহরা বেগম সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আছমা খাতুন উর্মি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালে একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই। বর্তমানে আমাদের তাসফিন (৬) নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্বামী আব্দুল আওয়ালের আচরণ পাল্টাতে থাকে। বিভিন্ন ভাবে দোষ ধরে উমিকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে । এক পর্যায়ে ১০ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে স্বামী আওয়াল ও তার সঙ্গীরা আমাকে ঘর থেকে তুলে এনে বাবার বাড়ির সামনের সড়কে রেখে যায়। এ সময় স্বামী আওয়াল জানায়, ‘তোকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে, আর কখনও আমার বাড়ির সীমানায় আসবি না। এরপরেও যদি যোগাযোগ করার চেষ্টা করিস তাহলে তোর ছেলেকে মেরে ফেলে গুম করে তোকে ফাঁসির আসামী করবো।’ এ ঘটনার পর ৯ ফেব্রুয়ারী জানতে পারি স্বামী আব্দুল আওয়াল অগোচরে এক সন্তানের জননী এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানার পর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আমার মায়ের দেওয়া ৫৫ লাখ টাকা সহ ৮০ লাখ টাকার সম্পদ ফেরত দিতে ও আমার সন্তানকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করি। এসময় স্বামী আওয়াল, শ^াশুড়ি দিপালী বেগম, ননদ রোজিনা বেগম সহ শ^শুর বাড়ির লোকজন আমাকে বেধড়ক মারপিট করে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। পরবর্তীতে বড়াইগ্রাম থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করি।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খাঁন জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।