নাটোর অফিস ॥
নাটোরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিন আইনজীবীর পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডঃ দিল মোহম্মদের তিন ছেলে অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ লাভলু, অ্যাডভোকেট শাহেদ মাহমুদ টিটু ও অ্যাডভোকেট শহীদ মাহমুদ মিঠু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় একটি রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিন সহোদর আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭৮ সালে তাদের পিতা সাবেক এমপি দিল মোহম্মদ তাদের মায়ের নামে শহরের আলাইপুর এলাকায় ওই সম্পত্তি ক্রয় করেন। পরে ১৯৮২ সালে ওই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা করেন প্রতিপক্ষরা। আগামী ৪ মার্চ মামলাটির রায় ঘোষনা হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। ইত্যবসরে মামলাটি শুনানী চলাকালে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। উচ্চ আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ আলাইপুর মহল্লার বাসিন্দা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাবু টিটির তিন কন্যা মোছাঃ লিপি, মোছাঃ তিথী ও মোছাঃ শাম্মী,মীরপাড়া এলাকার মরহুম মোশারফ হোসেনের ছেলে মোঃ ইমন,মোঃ অলিফ ও মোঃ ফেরদৌস বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সুযোগে প্রতিপক্ষরা মস্তান বাহিনী দিয়ে তাদের মায়ের নামে কেনা ৯ শতাংশ জমি দখল করে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ওই জমির ওপর থাকা আধাপাকা দোকানঘর ও গ্যারেজ ভেঙে সীমানাপ্রাচীর তুলে দিয়েছে দখলকারিরা। আদালত অমান্যের বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। এমনকি জমিটি প্রকাশ্যে জবর দখল করার ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করে। এই সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তার ইশারায় পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামন বাপ্পি, অ্যাডভোকেট মমিন বাবু ও ব্যবসায়ী মামছুল ইসলাম জুয়েল।
এব্যাপারে মরহুম আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাবু টিটির কন্যা মোছাঃ শাম্মী সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিপক্ষদের কোন দলিল নেই। তাদের পিতার ক্রয় করা জায়গা তারা বিক্রি করে দিয়েছেন অনেক আগে। মাপযোগ করে ক্রেতাকে তার জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়। জবর দখলের মত কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয়ে জমির ক্রেতা মোঃ ইমনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার রিং দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এবিষয়ে জানতে ম্যাসেঞ্জারে তার বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,জবর দখলের ঘটনা ঘটার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। খবর নিয়ে জেনেছেন জায়গাটি মাপযোগ করা হচ্ছিল। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে অভিযোগকারীরা আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে তাদের আর্জি জানাতে পারেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে পুলিশ।