নাটোর অফিস॥
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল সিংড়াবাসীর আধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে আস্থা ও ভরসায় পরিণত হয়েছে। আমি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সিংড়ায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আগামীতে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরন সহ মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ও জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। এর পাশাপাশি যে সকল মানবিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার তা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রোববার সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে চক্ষু ইউনিটের উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পলক আরো বলেন, চলনবিল অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় একটা সমস্যা ছিল স্বাস্থ্যসেবা। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ছিলোনা। জটিল কোন রোগের চিকিৎসা ছিলোনা, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিলোনা। কোন প্রকার সার্জারীর ব্যবস্থা ছিল না। একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স ছিলো। ডায়াবেটিকসহ যে কোন জটিল রোগের পরীক্ষা-নিরিক্ষাসহ চিকিৎসার জন্য সিংড়ার মানুষদের নাটোর ও রাজশাহীতে যেতে হতো। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সিংড়ায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে। চোখের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। অনেক শিশু জন্মগতভাবেই চোখের সমস্যায় ভোগে। কিন্তু সামান্য পরীক্ষার অভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। সিংড়াতে আমরা চক্ষুক্যাম্প পরিচালনা করে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সকল রোগীদের সমস্যা সনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের যে আনন্দ তা আমরা উপলব্ধি করেছি। তাই আমরা সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে চক্ষু ইউনিটের স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।
সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতি কার্যালয়ে চক্ষু ইউনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীলীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান, সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস,ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মওলাণা রুহুল আমিন প্রমুখ।
সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই চক্ষু ইউনিটে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৮টা- থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে সার্বক্ষণিক একজন চক্ষু চিকিৎসক সেবা দিবেন।