নাটোর অফিস ॥
নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকায় স্কুল থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পাশাপাশি প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে পরিবারসহ এলাকাবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিলো। পথে আলাইপুর এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে আসা উত্তর বড়গাছা এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে টিকটকার নিরব ও তার সহযোগী স্টেশন বাজার এলাকার নূর আলমের ছেলে পারভেজ ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে টিকটকার নিরব ও পারভেজকে অভিযুক্ত করে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা নাটোর সদর থানায় মামলা করেন। পরিবারের অভিযোগ স্কুলছাত্রীকে অপহণের পর ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর সদর থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে। বৃহ¯পতবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহীর বাঘা এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার কর। পরে দুপুরে ওই ছাত্রীকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
নাটোর সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মইনুল হক রিকু জানান, রোগী ভর্তি করা হয়েছে আমরা ইতোমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছি। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রধান অভিযুক্ত টিকটকার নিরবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে নিরবকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অপর অভিযুক্ত পারভেজকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধারের পরে দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টের পরে অপহরণের ধর্ষণের বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তা।