নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ এবং বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ইট পাটকল নিক্ষেপ ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নাটোর -বগুড়া মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর গাড়ি সহ ৮ টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন দোকানে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। বিএনপির হামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) আক্তারুজ্জামান সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদ, বিএনপি নেতা জার্জিস কাদির, আসাদ সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার পুলিশ।এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিক লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে মেসার্স সিংড়া ফিলিং স্টেশন ভাংচুর করে। কিছুক্ষণ পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টার দিকে সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব দাউদার মাহমুদ ও রাজশাহী সরকারি নিউ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জার্জিস কাদিরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সিংড়া পৌর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় লিফলেট বিতরণ শুরু করে। এ সময় পুলিশ তাঁদের লিফলেট বিতরণ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা লিফলেট বিতরণ বন্ধ না করায় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল শুরু করেন।
মিছিলটি সিংড়া বাসস্ট্যান্ড হয়ে নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক হয়ে বাজার এলাকায় আসে। এ সময় পুলিশ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদকে আটক করে। তাকে আটকের পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের একটি গাড়ি ও মহাসড়কে দাঁড়ানো পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্তত ৮টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এই সময় বিএনপির নেতা–কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সিংড়া থানার ওিস জানান, এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের ইন্ধনে পুলিশ হামলা চালিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মানুষের ভোট দেওয়া যেমন গনতান্ত্রিক অধিকার তেমনি ভোট বর্জনের অধিকার রয়েছে। পুলিশ বিশেষ জায়গা থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি চান।
পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শহরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, বিএনপি ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য সন্ত্রাসী কায়দায় শক্তি প্রয়োগ করছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৩ পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। পুলিশের গাড়িসহ সাধারণ গাড়ি ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।