নাটো অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকের ঘর ও খামারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক মোঃ ইছামুদ্দিন (৩৫) বাদি হয়ে ৬ জনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কৃষক ইছামুদ্দিন ওই গ্রামের মৃত-আফছার আলীর ছেলে।
কৃষক ইছামুদ্দিন জানান,‘দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা নিয়ে একই এলাকার মৃত ছলিম শেখের ছেলে কালাম শেখ, সালাম শেখ, মোজাফফর শেখের ছেলে আনিস শেখ, আবুল খা’র ছেলে কফিল খা, কফিল খা’র ছেলে সাব্বির খা ও কালাম শেখের ছেলে নুর আমিনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে বাড়ি ঘরসহ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দিতো। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তেমন ভাবে প্রতিবাদ করতে পারতাম না। বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যরা সকলেই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাতেই অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমার শোবার ঘরে, গোয়াল ঘরে ও পল্ট্রী মুরগীর খামারে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরে আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলেও আগুন নিভাতে ব্যর্থ হই। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র নগদ টাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। আমি সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ভাবে দোষিদের বিচার দাবি করছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান,‘মাঝে মধ্যেই তারা ইছামুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকী দিতো। বাড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়ার কথাও বলতো’।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুঠোফন এবং বাড়িতে গিয়েও কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান,‘খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনা হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি।’
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ উজ্জল হোসেন জানান,‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।