নাটোর অফিস॥
তালাক দেয়া স্বামীর ছোড়া এসিডে মোছা. রিমা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূর শরীর ঝলছে গেছে। এসময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চার বছর বয়সী ভািতজি মাইমুনার শরীরের কিছ অংশ ঝলছে গেছ। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুরে । উপজেলার দুড়দুড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের রান্টুর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন মাদক মামলায় আসামী হয়ে জেলে যাওয়ায় তার স্বামী রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মোহাম্মদ জিয়াকে(২৫) চারমাস আগে তালাক দেয়। জামিনে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রী রিমা খাতুন ও পাঁচ বছর বয়সী সন্তান জিমের সঙ্গে কথা বলতে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ করে স্বামী জিয়া। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিমার খাতুনের চার বছর বয়সী ভাতিজি মাইমুনার শরীরেরও কিছু অংশ ঝলসে যায় এসিডে। বর্তমানে আহত দু’জনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত রিমার বাবা রান্টু আলীর বলেন, বিয়ের পর থেকেই জিয়া আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে আমার মেয়ে তাকে তালাক দিয়েছে। এর পর থেকে মাঝে মধ্যেই জিয়া এসে তার ছেলে কে দেখে যেতো। গত কাল এসে আমার মেয়েকে এসিড মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
লালপুর থানার ওসি নাছিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাদক মামলায় জিয়ার জেল হলে গত চার মাস আগে তাকে তালাক দেন স্ত্রী রিমা খাতুন। পরে জামিনে বের হয়ে মঙ্গলবার রাতে রিমার সঙ্গে দেখা করতে এসে মুখে এসিড নিক্ষেপ করে জিয়া। এ সময় রিমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চার বছরের শিশু মাইমুনার শরীরের কিছু অংশও এসিডে ঝলসে যায়। তাদের চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান জিয়া। পরে আহতদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তারা একটু সুস্থ হলে জবানবন্দি নিয়ে মামলা রেকর্ড করা হবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।