নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে নিজের স্ত্রী ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাজমুল ইসলাম নামের এক ইলেকট্রিশিয়ান। সোমবার সকালে গুরুদাসপুর থানা চত্বরে একটি কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নাজমুল ইসলাম বলেন,‘তিনি চাঁচকৈড় কাচাড়িপাড়া মহল্লা’র মৃত গেদু প্রাং এর ছেলে। উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পুরাতন বাজার এলাকার মোঃ শেরু আলী’র মেয়ে শিল্পি বেগমের সাথে সম্পর্ক হয়ে আনুমানিক আড়াই বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীর নামে বসত ভিটার দেড় শতাংশ জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে ভালই চলছিলো সংসার। চাচঁকৈড় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি ও তার স্ত্রী। নিজেদের বাড়ির কাজ সম্পুন্ন হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর মালামাল নিয়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। রাস্তায় আমার না থাকার সুযোগে শিল্পির বাবা শেরু আলী জোড়পূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। সাথে আমার জমি বিক্রির নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ও জমির দলীল নিয়ে চলে যায়। সেখানে গিয়ে নতুন করে তার মেয়েকে জোড়পুর্বক আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আরেকজনের সাথে বিয়ে দিয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। এ কারনে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি আমার স্ত্রী ও সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই।’
কেন শিল্পী বেগম তার স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন এমনটি জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে শিল্পীর বর্তমান স্বামীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, মুলত কয়েক বছর পূর্বে চাঁচকৈড় গণ্যাপাড়া মহল্লার সুনামের সাথে বিয়ে হয়েছিলো। সুনাম আর শিল্পীর ঘরে দুইটি সন্তানও রয়েছে। সুনামের বাড়িতে ইলিকট্রেনিক্সের কাজ করতে এসে তার স্ত্রী শিল্পীকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করেছিলো নাজমুল ইসলাম। আড়াই বছর পর সন্তানদের টানে পুনরায় নিজের ইচ্ছেয় প্রথম স্বামী সুনামের সাথে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে শিল্পী।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ উজ্জল হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।