নাটোর অফিস ॥
নাটোর বাজারে একদিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার প্রতিকেজির পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকায়। দাম বৃদ্ধির কারন জানেননা কেউ। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারত থেকে পিয়াঁজ আমাদানি বন্ধ হওয়ার খবর প্রচারের পর থেকে স্থানীয় বাজারে পিয়াজের দাম বেড়ে যায় ।
শনিবার সকাল থকে কিছু সময় দেশী পিঁয়াজ প্রতিকেজি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দাম হাঁকা হয়। একই সাথে ভারত থেকে আমাদনিকৃত এবং নতুন ওঠা পিয়াঁজের দাম বাড়ানো হয়। শুক্রবার নাটোরের নিচাবাজার, স্টেশন বাজার ও মাদ্রাসা বাজারে আমদানিকৃত এইসব পিঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা এবং নতুন পিঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। আজ আমদানিকৃত পিঁয়াজ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা এবং দেশী নতুন ওঠা পিয়াঁজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
নিচাবাজরের খুচরা ব্যবসায়ী মজিবর রহমান,আয়চান আলী জানান, তারা পাইকেরি বিক্রেতার কাছে প্রতিকেজি দেশী পিয়ঁয়াজ কিনেছেন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং আমদানিকৃত ১৭০ টাকায় ও দেশী নতুন ১৫০ টাকায় কিনেছেন।
শামছুল আলম নামে এক পাইকেরী বিক্রেতা জানান, তিনি মোকাম থেকে পিঁয়াজ কিনেছেন। প্রতিকেজি পিঁয়াজের দাম নিয়েছে ১৮০ টাকা করে। এছাড়া মোকাম থেকে নাটোর বাজারে াানতে তার গাড়ি খরচ হয়েছে। এর পরও তিনি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, পিঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের সাথে এনিয়ে ঝগড়া বিবাদ হচ্ছে।
কি কারনে দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেননা বলে জানান। তবে একটি সুত্র জানায়, ভারত থেকে আমাদানি বন্ধ হওয়ার কারনে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত খবর প্রচারের পর থেকে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
ক্রেতারা াভিযোগ করে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রনে কোন ধরনের উদ্দোগ না থাকায় নিত্য পণ্যের দাম বেপরোয়া গতিতে বাড়ানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঁঞা জানান, একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে স্থানীয় বাজার সমুহে অভিযান শুরু করা হয়েছে।