নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রতিবেশী দোলেনাকে শেষ দেখা দেখতে গিয়ে নিজের বুেকর ধন সন্তানকে হারালেন মা শিলা আক্তার। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় ২ বছরের শিশু এরফানের। নিহত শিশু এরফান উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মাড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের দিনমজুর সাজেদুর রহমান ও গৃহিণী শিলা খাতুন দম্পত্তির একমাত্র পুত্র সন্তান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ৭ টার দিকে মাড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের আজিদারের অসুস্থ স্ত্রী দোলেনার মৃত্যুর খবর পেয়ে শিশু এরফানকে বাড়িতে রেখে দোলেনাকে শেষ দেখা দেখতে যান মা শিলা আক্তার। পরে বাড়িতে ফিরে এসে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে এরফানকে ভাসতে দেখে চীৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার অনেক আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, পুকুরের যে স্থান থেকে এরফানকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একটি পাট কাঠি পড়েছিল। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে বাড়িতে বাবা-মা না থাকায় ওই পাট কাঠি নিয়ে খেলতে খেলতে সে পুকুরের কাছে যায় এবং সেখানে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে তিনিসহ এসআই আতাউর ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুকুরের পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশু এরফানের মৃত্যুতে পরিবারসহ কারো কোন অভিযোগ না থাকায় নিহত শিশুর সুরাতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিন বেলা সাড়ে ১২টায় নিহত শিশু এরফানের দাফন সম্পূর্ন হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এদিকে শিশু এরফানের মৃত্যুতে গোটা গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।