নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরের মো.মাসুদ রানা নামের এক যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে একটি খাদে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। মাসুদ রানা বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগসোশা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিলমাড়িয়া বাজার এলাকা থেকে প্রথমে মাসুদকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। তারা মাসুদকে হাতে, পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত ভেবে উপজেলার গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনের একটি খাদ ফেলে রেখে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে থেকে তাকে উদ্ধার করে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাসুদ রানার ছোট ভাই সোহেল রানা বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাসুদ রানা বিলমাড়িয়া বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় রাস্তার মধ্যে একটি সাদা রঙ এর মাইক্রোবাস তার পথ রোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় মাসুদের হাতে, পায়ে ও শরীরের বিভিন্œ স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজে সামনের খাদে ফেলে রেখে যায় তারা। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ফোন করে লাশ নিয়ে যেতে বলে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে জীবিত উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নিয়ে যায়। মাসুদ রানা যুবদলের একজন প্রভাবশালী নেতা। চলমান আন্দোলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে টার্গেট করে কুপিয়ে যখম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন জানান, ‘খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এটা কোন পুলিশের কাজ না। জরিতদের শনাক্তে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত করা হয় নি বলে জানান ওসি।’