নাটোর অফিস ॥
নাটোরে আওয়ামী লীগ সমর্থক পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হেসেন ও রাসেদুল ইসলাম কোয়েল গ্রুপের সংঘর্ষে কাউন্সিলর রানাসহ তার গ্রপের অন্তঃত ৬ জন এবং অপর গ্রুপের কোয়েল আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কাউন্সিলর রানা হোসেন,জাহিদুল,আশিক,রবিন ও মেজরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আহত জাহিদুলও আশিখের অবস্থা আশংকাজনক। এই ঘটনার পর ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনালে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, বুধবার সকাল থেকে হরিশপুর টার্মিনাল এলাকায় জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া সহ পৌর কাউন্সিলর রানা ও কোয়েল একই সাথে অবস্থান করছিলেন। এরই এক পর্যায়ে পুর্ব বিরোধ সহ এলাকায় আধিপত্ত্য নিয়ে হঠাৎ করেই কোয়েল গ্রুপ ও রানা গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে রানা গ্রুপের অন্তঃত ৬ জনসহ ৭ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকাৎসাধীন অবস্থায় জাহিদুল ও আশিকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে অপর চারজনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়। খবর পাওয়ার এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তারুল ইসলাম আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন জানান, তারা অবরোধ বিরোধী কর্মসুচীতে অংশ নিতে হরিশপুর এলাকায় যান। সেখানে যাওয়ার পর কর্মসুচী পালনের এক পর্যায়ে কেয়েল সমর্থকরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। এতে তিনি সহ তার ৫ সমর্থক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থামাতেতে গিয়ে তারাও লাঞ্চিত হন।
রাশেদুল ইসলাম কোয়েল বলেন,তারা প্রতিদিনই বিএনপিরহওতাল ও অবরোধ বিরোধী কর্মসুচী পালন করে আসছেন। বুধবার সকালে কর্মসুচী পালন করার সময় কাউন্সিলর রানা বিএনপি কর্মী মিলনকে সাথে নিয়ে যান। রানা কমিশনারের দুলাভাই হন বিএনপি নেতা মিলন। মিলনকে সাথে নিয়ে আসার কারন জানতে চাইলে রানার সাথে তার ঝগড়া বাধে। এসময় হঠাৎ করে পিছন থেকে তার মাথায় আঘাত করা হলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার সমর্থকরা এসময় তাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। এর পর কি হয়েছে সেটি তিনি বলতে পারবেননা।
যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া বলেন, তিনি সহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানা ও কোয়েল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। আমরা তাদের থামানো চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তাদের দুজনার মধ্যেকার পুর্ব বিরোধের জেরে এই অপ্রিতিকর ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায় ,উভয় গ্রুপই সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন রানা বা কোয়েল কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য নন।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরিন বিরোধের জেরে এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ করেনি কোন পক্ষই।