নাটোর অফিস ॥
নাটোরে এক ব্যাক গ্রাহকের আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সাথে জড়িত মোঃ জন্টু শেখ (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৬০), মোঃ হাবিব খান (৬০) ও সহিদ (৪৫) নামে চোর চক্রের ৪ সদস্যকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। নাটোর জেলা পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের বগুড়া থেকে গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে বগুড়া শহরের রেল গেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মোঃ জন্টু শেখ খুলনার রুপসা থানার বাগমার এলাকার মৃত আকবর শেখের ছেলে, দেলোয়ার হোসেন খুলনার ৬ নং কয়লা ঘাট রেলওয়ে গার্ড কলোনী এলাকার মৃত হাসেম শেখের ছেলে, মোঃ হাবিব খান নড়াইলের লোহাগড়া থানার আমাদা এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক খানের ছেলে এবং সহিদ ঝালকাঠী জেলার নলছিটি থানার উত্তর কাঠীপাড়া এলাকার মৃত ফটিক মাঝির ছেলে।
পুলিশ জানায়, নাটোর শহরের পটুয়াপাড়া এলাকার মৃত কাঞ্চন আলী খানের ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল আমীন খাঁন (৫৫) গত ৭ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের নিচাবাজার এলাকায় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলনকৃত সমুদয় টাকা একটি লাল কিটনাশকের ব্যাগে রেখে নুরুল আমীন ব্যাংকের পাশে মুন স্টুডিও সংলগ্ন সড়কের ওপর তার মোটর সাইকেলের কাছে যান এবং গাড়ির পিছনে টাকা ভর্তি ব্যাগটি রাখেন। এসময় মুহুর্তের মধ্যে টাকা ভর্তি ব্যাগটি চুরি হয়ে যায়। নুরুল আমীন খাঁন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোরের দল কৌশলে টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। টাকা ভর্তি ব্যাগের সন্ধান না পেয়ে নুরুল আমীন খাঁন সদর থানায় একটি এজাহার করেন। ওই এজাহার দায়েরের পর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলামের নির্দেশনায় নাটোর জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার জেলা পুলিশ ৪ অক্টোবর রাতে বগুড়া শহরের রেলগেট এলাকা থেকে চোর চক্রের ওই চার সদস্যকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারের পর তাদের কাছে থেকে চুরি যাওয়ার টাকার মধ্যে ৫০হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।