নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরের চাঞ্চল্যকর দু’টি হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ শাহিনুল ইসলাম ওরফে সুজনকে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের একটি টিম বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরের বিনোদপুর এলাকা হতে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার সুজনকে ছাত্রলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড ও মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ও নাটোর-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মমতাজ উদ্দিন হত্যা মমলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। মামলার রায় ঘোষনার পর থেকেই পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য সে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছিলো। গ্রেপ্তার সুজন লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে।
লালপুর থানার (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ গত ২০০২ সালের ১ মার্চ লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাবিবপুর গ্রামে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের পিতা আব্দুস শুকুর মৃধা লালপুর থানায় সুজন সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করে। ২০১৯ নাটোরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারক এজাহার নামীয় ৩নং আসামী মোঃ শাহিনুল ইসলাম ওরফে সুজনসহ ৪জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ১জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর হতে মৃত্যু দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী সুজন পলাতক ছিল।
ওসি আরো বলেন, এছাড়া ২০০৩ সালের ৬ জুন দলীয় কাজ সেরে গোপালপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি আব্দুলপুরের মিলকিপাড়া গ্রামে ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে দাঁইড়পাড়া-নেঙ্গুরিয়া সড়কে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে হয়। পরদিন ৭ জুন লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়। বিচারে ওই মামলাতেও সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।