নাটোর অফিস॥
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত নাটোর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জিআই পণ্য ইলিশ আমাদের দেশের জনসাধারণের পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস। দেশে বাৎসরিক ৫.৬৫ লক্ষ টন ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে এবং দেশের জিডিপিতে এক শতাংশ অবদান রাখছে। বিশ্বের ৮৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইলিশ উৎপাদনে সারা বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। পরম গৌরবের এই অবস্থানকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এই ২২ দিনে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অনাম্যকারীকে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা যাবে।
সভায় প্রজনন মৌসুুমে ইলিশকে সুরক্ষা প্রদানে লিফলেট, পোষ্টার, ব্যানার ও মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো, জেলার পদ্মা নদী অধ্যুষিত লালপুর উপজেলার ৫৫০ জন জেলেকে ২০ কেজি করে ভিজিএফের চাল প্রদান এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম মাইনুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।