নাটোরঃ নাটোর-২(সদর ও নলডাঙ্গা) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেতে চলেছেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। চুড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণার একদিন আগেই শিমুলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নাটোর-২ আসনে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র তোলেন। এর মধ্যে জেলা আ’লীগ সহসভাপতি উমা চৌধুরী পৌর মেয়র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় মনোনয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন। গত বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে নিজের মনোনয়ন চাইতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে শুক্রবার খবর প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিক। হেভিওয়েটদের মধ্যে এখন বাকী রয়েছে জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখ। মালেক শেখের বড়ভাই প্রয়াত হানিফ আলী শেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় শেষ মুহূর্তে দৃশ্যপট পাল্টাতে পারে- যদিও সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এদিকে জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে কে পাচ্ছেন বহুল কাঙ্খিত নৌকা প্রতীক, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ ভোটারদের। গণমাধ্যমকর্মীদের পেলেই এ প্রশ্ন করছেন তারা। তবে সত্যি কে মনোনয়ন পাচ্ছেন বা বর্তমান সাংসদের মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা কতটুকু- তা নিয়েও মুখে কুলুপ এটেছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
তবে মনোনয়ন কে পাবেন তা ইতোমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র। শুধু মহাজোটের সাথে আসন ভাগাভাগিজনিত কারণে তা থেমে আছে।
মহাজোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগই আসনটি পেলে শিমুলই যে প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমনটি প্রায় নিশ্চিত। তবে আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দিলে এখানে প্রার্থী হবেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মজিবর রহমান সেন্টু, যা প্রায় স্পষ্ট হলেও সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
তাই শেষ মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা মধ্যেই শেষ হতে চলেছে নাটোর-২ আসনে ভোটের হিসাবনিকাশ। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৫ শে নভেম্বর রোববারই প্রকাশিত হবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।