নাটোরঃ নাটোরে জেলা পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদের নিয়োগে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসাথে এই নিয়োগ প্রদানে বাণিজ্য করারও অভিযোগ উঠেছে। বিধি অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দা না হয়েও ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগ ও বাছাই পরীক্ষার উল্লিখিত পদে নিয়োগ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন চাকুরী প্রার্থী। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেও এখন পর্যন্ত প্রতিকার পায়নি বিধি মেনে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া অন্য প্রার্থীরা।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, জেলার সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের গুনাইখাড়া গ্রামের কৃষ্ণা রাণী ২০১৭ সালের ৩০ শে জুলাই পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে আবেদন করেন। আবেদনের শর্ত ছিলো, আবেদনকারীর ইউনিয়ন হবে হাতিয়ান্দহ, ওয়ার্ড নং-০২, ইউনিট-/ক এবং গ্রাম-গুনাইখাড়া, শালিখা টলটলিপাড়া, কলিগ্রাম, ভাটোপাড়া এলাকার মধ্যে হবে।
শর্তানুযায়ী গুনাইখাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে কৃষ্ণা রাণী আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র পেয়ে গত বছরের ২৫ শে সেপ্টেম্বর নাটোরের এন এস সরকারী কলেজে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রায় ১১ মাস পর চলতি বছরের ১৩ই আগস্ট ওই পদে মৌখিক পরীক্ষা অংশ নেন কৃষ্ণা। সর্বশেষ চলতি মাসের ৮ই নভেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওই পদে নিয়োগ পেয়েছেন সালেহা খাতুন নামের অপর এক আবেদনকারী, যিনি শর্তানুযায়ী নিয়োগবিধিতে উল্লি¬খিত গ্রামের বাসিন্দা নন। তিনি শালিখা মন্ডলপাড়া ইউনিট-২/খ গ্রামের বাসিন্দা।
সংশি¬ষ্ট শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, রাজস্বখাতভুক্ত ১৯টি শূণ্যপদে সিংড়া ৪টি ইউনিয়নের থেকে আবেদন চাওয়া হয়। আবেদনে সুষ্পষ্ট উলে¬খ আছে- হাতিয়ান্দহ, ওয়ার্ড নং-০২, ইউনিট-/ক এবং গ্রাম-গুনাইখাড়া, শালিখা টলটলিপাড়া, কলিগ্রাম, ভাটোপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দারা শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী কৃষ্ণা রাণীর জানান, তাদের ইউনিয়ন থেকে রিনা খাতুন, নিপা রাণী, কামরুন্নাহার ও তিনি অংশ নেন। তবে লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষাতেই তার কৃতকার্য হওয়ার কথা। কিন্ত শর্ত ভঙ্গ করেও ওই ইউনিয়ন থেকে নিয়োগ পান সালেহা নামে আরেকজন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করার কথাও জানান তিনি। একই ইউনিয়ন থেকে অংশ নেয়া অনান্য আবেদনকারীদের অভিযোগ, বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে ওই পদটিতে নিয়োগ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) এস এম জাকির হোসেন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থ লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। কারো গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং নিয়োগটি বাতিল করা হবে।