নাটোর অফিস ॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে চতুর্থ শ্রেণীর শিশুকে জোরপুর্বক ধর্ষণে অন্তসত্বা হওয়া মামলার পলাতক আসামী জাহিদুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। শুক্রবার রাতে র্যাব-৫ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা এলাকা থেকে মামলার প্রধান ও মুল আসামী জাহিদুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে র্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রিয়াজ শাহারিয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রিয়াজ শাহারিয়ার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন,গত বছরের ১৮ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে গুরুদাসপুরে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়–য়া ওই শিশুর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী দাদা জাহিদুল ইসলাম ভিকটিমের মুখে গামছা বেধেঁ জোর পুর্বক ধর্ষন করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসে সে। শিশুটি ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনা। পরবর্তীতে ভিকটিম অন্তসত্বা হয়ে পড়লে শারীরিক পরিবর্তন দেখে ভিকটিমের দাদির সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় ক্লিনিকে পরীক্ষা করায়। এতে ওই শিশু ৭ মাসের অন্তসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে গত ১৮ জুন ভিকটিমের দাদি বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে মামলার আসামী জাহিদুল ইসলাম গা ঢাকা দেয়। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়ায়“ ধর্ষণে অন্তসত্বা ৪ র্থ শ্রেণীর ছাত্রী” শিরোনামে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ও মামলার এজাহারের ওপর ভিত্তি করে র্যাব-৫ ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি এবং র্যাবের সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের সাবির্ক সহযোগীতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গার হেলেঞ্চা এলাকায় র্যাব-১০ এর সহায়তায় র্যাব-৫ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পলাতক জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র্যাব-৫ এর কোম্পাণী অধিনায়ক মেজর অশিকুর রহমান, সিপিসি-৩ জয়পুরহাটের কোম্পাণী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং ফরিদপুর র্যাব-১০ এর কোম্পাণী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শেখ আকতার।
অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রিয়াজ শাহারিয়ার আরও বলেন ,প্রায় ১২ ঘন্টার যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেফতার করা হয় । গ্রেফতারকৃত আসামীকে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।