নাটোর অফিস॥
বাংলাদেশের আধুনিক (স্মার্ট) স্বর্ণশিল্পের একমাত্র রূপকার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিষ্ট্রিক্ট মনিটরিং চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেছেন, তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত ও গুণগত নেতৃত্বের কারনেই বাজুস আজ স্মার্ট বাজুসে পরিনত হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশে। যার সুফল পাচ্ছেন দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার শহরের বঙ্গজল রাজবাড়ি চত্বরে আনন্দ ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন নাটোর জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে বেলা ১১টার দিকে আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও নাটোর জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ রিপনুল হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বর্ণ শিল্পকে বিকশিত করতে একটি সঠিক ও যুগপোযোগী নীতিমালা প্রণনয়ন করেছেন। সেই নীতিমালার আলোকে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর দেশেই একটি স্বর্ণ রিফাইনীর কারখানা গড়ে তুলছেন। যার ফলশ্রুতিতে এখন আর বিদেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি করতে হবে না। বরং এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে গুণতগ মানের স্বর্ণ রপ্তানী করা হবে। যার নাম হবে মেড ইন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর সারাদেশে সাধারণ জুয়েলারি মালিকরা বাজুসের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারনে সুফল পাচ্ছেন। দেশের ৬৪ জেলার ৪০ হাজার সদস্য নিয়ে বাজুস এখন সক্রিয় ও সুসংগঠিত সংগঠন। এতে প্রশাসনও জুয়েলারি মালিকদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রশাসনের হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ ব্যাপক সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে জুয়েলারি শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে’।
ডাঃ দিলীপ কুমার রায় বলেন, গার্মেন্টস শিল্প যেমন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, একদিন জুয়েলারী শিল্পও রপ্তানী খাতে গার্মেন্টস শিল্পের মত অগ্রণী ভুমিকা রাখবে। যার পুরো নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের র্শীষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি যে সিদ্ধান্ত ও দিক নির্দেশনা দিবেন তা আমাদের সকলকে অনুসরন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের স্বর্ণ শিল্পে অনেক সমস্যা আছে, তার সমাধানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর কারনে স্বর্ণ ব্যবসার কিছুটা সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। দিলীপ কুমার রায় আরো বলেন, ব্যবসায় লাভ করবো কিন্তু প্রতারণা করা যাবে না। আমরা সারা দেশে এক সঙ্গে স্মার্ট জুয়েলারী ব্যবসা করতে চাই। স্মার্ট জুয়েলারী ব্যবসার দিকপাল হচ্ছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক স্বপন কুমার পোদ্দার, সদস্য সচিব রঘুনাথ কর্মকার,বাজুস সিংড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি সৃজন কুমার দাস, গুরুদাসপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি প্রেম কুমার ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভাস্কর বাগচী । এসময় নাটোরের বিভিন্ন উপজেলার বাজুসের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বাজুসের নাটোর জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে স্বপন পোদ্দারকে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব রঘুনাথ কর্মকার, পবিত্র চন্দ্র ঘোষকে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং রিপনুল হাসানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই আহ্বায়ক কমিটি নাটোর জেলায় নতুন সদস্য সংগ্রহ শেষে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গঠিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।