নাটোর অফিস ॥
নাটোরের লালপুরে বড়াল নদীতে গোসল করতে গিয়ে মোছাঃ উর্মি খাতুন (১৯) ও বড়াইগ্রামে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন (৫০) নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে লালপুর উপজেলার ধুপইল চকপাড়া এলাকা ও বিকেলে বড়াইগ্রামের জালশুকা গ্রামে এই দুইটি ঘটনা ঘটে। উর্মি ওই এলাকার রাজমিস্ত্রী মিনাউলের স্ত্রী এবং আম্বিয়া খাতুন ওই গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান প্রামাণিকের স্ত্রী। উর্মির ৬ মাসের এক শিশু সন্তান রয়েছে।
নাটোরের দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মুনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরের দিকে ধুপইল চকপাড়া এলাকার উর্মি খাতুনসহ তিন নারী বড়াল নদীতে গোসল করতে নামেন। এসময় উর্মি খাতুন নদীতে ডুব দিলে সাঁতার না জানায় পনিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই নারীর সন্ধান না পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হন। পরে রাজশাহী থেকে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরী দল এসে নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ গজ দুর হতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসীরা জানায়,বাড়ির নলকুপে পানি না ওঠায় ননদকে সাথে নিয়ে উর্মি খাতুন নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যায় উর্মি।
অপরদিকে সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘরের মাটির দেয়াল লেপার সময় তা ভেঙ্গে ওই গৃহবধূর ওপর পড়লে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে মারা যায় গৃহবধূ আম্বিয়া খাতুন (৫০)। সে ওই গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান প্রামাণিকের স্ত্রী।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, বিকেল তিনটার দিকে জালশুকা গ্রামের আম্বিয়া খাতুন নামে ওই নারী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলে। এসময় বাড়ির একটি মাটির দেয়াল ভেঙ্গে তার গায়ের ওপর পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।