নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে দুইটি তক্ষক সহ আনোয়ার হোসেন (২৯) ও বিপ্লব সরদার নামে (১৯) দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ১টি ওয়াকিটকিসহ সেনাসদস্যের আইড কার্ড মোট সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্রের সিল এবং ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃত ধুসর রংয়ের তক্ষক দুটির একপি ১২ ইঞ্চি ্ওবং অপরটি ১৩ ইঞ্চি। আজ সেরাববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর এলাকায় চেকপোষ্ট কার্যক্রমের সময় তাদের আটক করা হয়। আটককৃত আনোয়ার হোসেনের কাছে একটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড, যার আইডি নং-১৩৭৫২৭, সেনা নং-১৪৫১৩৯৭ পাওয়া যায়। সে উপজেলার বিলপাড়া এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে এবং তার সহযোগী বিপ্লব সরদার নন্দিকুজা গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে। আটক চাকরীচ্যুত সেনা সদস্য আনোয়ার হোসেন উপজেলার মিশ্রিপাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুল কাদের জাহাঙ্গীরের বাড়ির ৩য় তলা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি শফিউল আযম খান জানান, রোববার বিকেলে এসআই আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে চেকপোষ্ট ডিউটি করছিল। এসময় আটককৃত আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী হেঁটে আসছিল। সন্দেহ হলে তাদের দাঁড়াতে বলে পুলিশ। এসময় তারা দুজনেই দৌগে পালিয়ে যায় এবং ওই ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়। পুলিশ পিছু ধাওয়া করে ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক করে এবং তাদের হেফাজত থেকে ধুসর বর্ণের দুটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই ভাড়া বাসার তিন তলায় তল্লাশী করে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ১টি ফিল্ড ক্যাপ, একটি ওয়াকিটকি, , বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড, যার আইডি নং-১৩৭৫২৭, সেনা নং-১৪৫১৩৯৭, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদধারী কর্ণেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কর্ণেল মোঃ আহমেদ শরীফ পিএসসি, কর্ণেল মোঃ কামাল উদ্দিন কমলের নামে ৩টি, মেজর মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ, মেজর মোঃ হাসিবুর রহমান, মেজর মোঃ আরিফুজ্জামান ও মেজর মোঃ আরাফত হোসেনের নামে ৪টি নিয়োগপত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ১০টি সীল, একটি ওহভরহরী মডেলের মোবাইল ফোন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগপত্র এক পাতা এবং একটি ধুসর রংয়ের ব্যাগে রক্ষিত ১,৯৪,০০০/=(এক লক্ষ চুরানব্বাই হাজার) টাকা জব্দ করা হয়।
ওসি আরো জানান, এঘটনায় বাগাতিপাড়া মডেল থানায় পেনাল কোড তৎসহ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৪(খ)/৪১ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।