নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে শ্লীলতাহানি এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার আলী, আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী, শাবান আলী নামে পাঁচজনের প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। সেই সাথে আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অপর আসামী আশরাফুল ইসলাম দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ জুলাই সকাল দশটার দিকে লালপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের স্ত্রী রিতা খাতুনকে জাপটে ধরে একই এলাকার আকবর মিস্ত্রির ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার। তাকে সহযোগিতা করেন একই এলাকার আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী ও শাবান আলী। এই ঘটনায় রিতা খাতুন চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে আসায় আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় এলাকায় শালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শালিসে আসামিদের শাসন গর্জন করে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ওই বছরেরই ২০ সেপ্টেম্বর রাত্রি ৯ টার দিকে আসামিরা কাবিল হোসেনের অনুপস্থিতিতে আবারো রিতা খাতুনের ঘরে ঢুকে তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে তারা। সে সময় রিতা খাতুনের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আবারো তাকে ছেড়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে আসামীর রিতা খাতুনের নামে নানা অপবাদ দিতে থাকে। এমন অপবাদ এবং শ্লীলতা হানির এমন ঘটনা সহ্য করতে না পেরে ঐদিন রাতে রিতা খাতুন বিষ পানে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় রিতার স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।