নবীউর রহমান পিপলু
নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও উত্তাপ নেই নির্বাচনী মাঠে। শুধু চায়ের দোকানগুলোতে চলছে একই আলোচনা- কে পাচ্ছেন দলের মনোনয়ন? বিশেষ করে ক্ষমতাসীন জোট আওয়ামীলীগ সহ তাদের শরীক দলগুলোর মধ্যে এই আলোচনা সীমাবদ্ধ নেই। সাধারন ভোটারদের মধ্যেও চরছে এমন আলোচনা।
নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনে বিএনপির একক প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তবে আইনগত জটিলতায় তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি নির্বাচনে অংশ নিবেন। এই আসনে আওয়ামীলীগ বা মহাজোটের কে প্রার্থী হচ্ছেন এমন মুখ্য আলোচনা এখন সর্বত্র। আওয়ামীলীগের জেলা সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এই দলের অপর প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক উত্তরবঙ্গ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও জেলা ঘাতক দালাল নিমুল কমিটির সেক্রেটারী তরুন আইনজীবি আব্দুল মালেক শেখ, সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি,যুবলীগ নেতা এহিয়া চৌধুরী,মহিলা লীগ সভানেত্রী রত্না আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা চিত্তরঞ্জন সাহা, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া ও বিশিষ্ট আইনজীবি প্রসাদ কুমার তালুকদার। তারা প্রত্যেকেই দলীয় মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করে জমা দিয়েছেন। কাল বুধবার সাক্ষাৎকার প্রদানের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই।
দলের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর কর্মী সমর্থক নিয়ে মাঠে নামবেন মনোনীত প্রার্থী। কে মনোনয়ন পাচ্ছেন এই অপেক্ষায় রয়েছেন দলের নেতা কর্মী সমর্থকরা। দলের মধ্যে উপদলীয় কোন্দাল থাকায় এই মূহুর্তে কর্মী সমর্থকদের কেউ নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াতে মাঠে নেই।
এদিকে মহাজোটের প্রধান শরীক জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাপার সভাপতি মজিবর রহমান সেন্টু ইতিমধ্যে নাটোর রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন। যদিও তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নাটোর-২ সদর আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন। তার পক্ষে জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করা হলেও দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এখনও মাঠে নামেননি।
তারা মহাজোটের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্যদলগুলির মধ্যে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কোন প্রার্থী নেই এই আসনে। বাংলঅদেশের মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে জেলা সমন্বয়কারী শহীদ চৌধুরী এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে আমেল খান চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
মহাজোট বা ঐক্যফ্রন্টের অন্য কোন শরীক দলের প্রার্থী নেই। সাধারন ভোটার সহ জোট-মহাজোট বা ঐক্যজোট ও ফ্রন্টের নেতা কর্মী ও সমর্থকরা কেন্দ্রের ঘোষনার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাই নির্বাচনী মাঠে নেই কোন উত্তাপ বা উত্তেজনা।