নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে মামলা তুলে না নেওয়ায় এক বৃদ্ধ বাবাকে (৮৫) হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে নাতি ও নাতবউয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকালে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-গড়িলা গ্রামে। আহত ফজলুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ছেলে খোয়াজ উদ্দিন (৬০) নাতি জামিল হোসেন (৪৫) ও নাতবউ মেরিনা খাতুন (৩৬) কে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফজলুর রহমান।
আহত ফজলুর রহমান বলেন,‘ চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে আমার ছেলে খোয়াজ উদ্দিন জোড় করে আমার কাছ থেকে জমি লিখে নিতে চায় । জমি লিখে না দেওয়ায় আমাকে মারধর করে। ১০৭ ধারা আইনে তার নামে মামলা চলমান। তদন্ত প্রতিবেদনও তার বিরুদ্ধে গিয়েছে। সোমবার নাটোর কোর্টে মামলা মোকাদ্দমার শুনানীর তারিখ থাকায় আমি আদালতে যাই। আদালত থেকে বাড়িতে প্রবেশ করার পূর্বেই আমার ছেলে হাতুড়ি দিয়ে আমাকে আঘাত করতে শুরু করে। এসময় নাতি ও নাতবৌ লোহার রড দিয়ে মারধর করে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে যাই। আমার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা নগদ এক লাখ টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা। স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপতালে প্রেরণ করে। আমার চার ছেলে দুই মেয়ের এক ছেলে মৃতু বরণ করেছে। আমার মেঝো ছেলে খোয়াজ উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবন করে এবং জুয়া খেলে। অনেক সম্পতি ইতিমধ্যেই বিক্রি করেছে। তার নামে দেওয়া মামলা তুলে নেওয়া এবং আবারও জমি লিখে না দেওয়ার কারনে সে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। আমি আমার ছেলের কঠোর বিচার দাবি করছি। যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আজকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে আঘাত করার পর আমার পায়ের দুইটি স্থানে চারটি সেলাই ও হাতে দুইটি স্থানে ক্ষত হয়েছে।’অভিযুক্ত ছেলে ও নাতি পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।