নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চাকল বিলের মাঝে ৪৫ বছর পূর্বে সেতু ও মাটির সড়ক নির্মিত হয়েছিল। বর্ষায় উত্তাল ঢেউয়ে সড়কটির অস্তিত্ব বিলীন হয়েগেছে। ৪০ বছর যাবৎ সেতুটি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকলেও নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি। ফলে কাজে আসেছেনা সেতুটি। উপরন্ত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সেতুটির অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নতুন করে সেতুটির দুই পারের সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকবাসী।
শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় উপজেলার মকিমপুর মাঠে অবস্থিত সেতুর পাশে আশপাশ গ্রামের প্রায় ১ হাজার মানুষ দাড়িয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। রওশনপুর, মকিমপুর ও রশিদপুর এলাকার সাথে থানা শহর গুরুদাসপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সংষ্কারের দাবিতে এবং সরকারী সম্পদ বিনষ্ঠের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মকিমপুর গ্রামের সমাজসেবক আলহাজ¦ মোঃ আমিরুল ইসলাম বাবু, মাছ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, চাকুরিজীবি আবু ফয়সাল সিদ্দিক, সজল ইসলাম, রবিন, জাকারিয়া হোসেনসহ আরো অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সেতুটির দুই পাশে নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় সেতুটির পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এসকল গ্রামের মানুষদের চার কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে নষ্ঠ হচ্ছে সময়, অর্থ এবং শ্রমঘন্টা।
এলাকার যুবক আবু ফয়সাল সিদ্দিক জানান,‘আগে চাকলেরবিল কেন্দ্রিক মোকিমপুর, তেলটুপি, রওশনপুর, নওপাড়া,ঝাউপাড়া ও সোনাবাজু গ্রামের মানুষ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইরে ছিলেন। এসব গ্রামের মানুষকে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় আনতে বিলের মাঝে সেতু ও সড়ক নির্মান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নানা কারনে সেতুকে ঘিরে নতুন করে সড়ক নির্মিত হয়নি। একারনে এখনো অনেকটা যোগাযোগ বঞ্চিত রয়েছে ওই গ্রামের মানুষগুলো। তাই আমি চাই অতি দ্রুত এলাকার হাজার হাজার মানুষের এই দুর্ভোগ লাঘব হোক।’
চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মাহাবুবুর রহমান জানান, ‘চাকলের বিলের দক্ষিণপাশ দিয়ে ‘ রওশনপুর-তেলটুপি ’গ্রামের মাঝ দিয়ে এক দশক আগে চাপিলা ইউনিয়ন সদরের সাথে গ্রামীন সড়কটি পাকা করা হয়েছে। এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ওই গ্রামের মানুষ এবং চাপিলা ইউনিয়ন এলাকার মানুষ প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরপথে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করছে। চাকলেরবিলের মাঝ দিয়ে সড়কটি নির্মিত হলে পাঁচ গ্রামের মানুষ সরাসরি উপজেলা সদর এবং চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সহজে যোগাযোগ রক্ষ করতে পারবে। ছোট ছোট যে প্রকল্প পাওয়া যায় তা দিয়ে এই কাজ করা সম্ভব নয়। বড় বরাদ্দের প্রকল্পের কাজ নিয়ে সেতুর দুইপারের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মিটিংয়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা রাখা আছে। তাছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকেও এসংক্রান্ত দাবী স্থানীয় সাংসদ মো. আব্দুল কুদ্দুসকে জানানো হয়েছে।