নাটোর অফিস ॥
নাটোরে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মিজানুর রহমান(৩১) নামে পুলিশের এক ভুয়া কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার রাতে লালপুর উপজেলার গোপালপুরের দাইড়পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল। গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈর গ্রামের মৃত আফছার সরকারের ছেলে।
র্যাব সুত্রে জানাযায়, মিজানুর রহমান ফেসবুকের মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে পরিচিত হয়। সে ফেসবুক আইডিতে পুলিশের ছবি আপলোড করে নিজেকে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের পরিচয় দিত। ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্ত বলার সময় সে বিশ্বাস জমিয়ে কৌশলে ভিকটিমের কিছু গোপন ছবি সংগ্রহ করে শারীরীক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। ওই কুপ্রস্তাবে ভিকটিম রাজি হয়না। এসময় সে গোপন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের কাছে থেকে বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিমের কাছে থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে মিজানুর রহমান তার ধারনকৃত গোপন ছবি ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে ১২ মে ভিকটিমের বাড়িতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্ব্বক ধর্ষণ করে এবং তার কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পরবর্তীতে গোপন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভিতী দেখিয়ে দু’দফার ভিকটিমের কাছে থেকে আরো ৩৩ হাজার টাকা নেয়। এরপরও সে ভিকটিমের কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করতে থাকলে ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমের এজাহার দায়ের করার পর হতে আসামী মোঃ মিজানুর রহমান গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারন করে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করে আতœগোপনে চলে যায়। র্যাব বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে লালপুর উপজেলার গোপালপুরের দাইড়পাড়া এলাকায় অভিযান চােিয় ধর্ষক মিজানকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ধর্ষণ ও প্রতারণা পূর্বক ছদ্দবেশ ধারণ করতঃ মিথ্যা তথ্য উপাত্ত প্রেরণ করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা মামলার একমাত্র এজাহার নামীয় গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামী মিজানুর রহমানকে নাটোর জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।