নাটোর অফিস ॥
দেশীয় অস্ত্র রামদা ও চাইনিজ কুড়াল হাতে নলডাঙ্গা ইউএনওর গাড়ি চালক রুবেলকে ধাওয়া করেন আহসান হাবিব নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগী। আজ মঙ্গলবার সকালে চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে তাড়া করার একটি ভিডিও চিত্র এই প্রতিবেদকের হাতে আসে । সিসিটিভির ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায় আহসান হাবিব এবং তার এক সঙ্গী দুজনে মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি চালক মোঃ রুবেলকে অস্ত্র হাতে তাড়া করছে। সে সময় রুবেল জীবন বাঁচাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। রুবেলকে ধরতে না পেরে গায়ের জামা ও অস্ত্র হাতে সিঁিড় বেয়ে নেমে সঙ্গির সাথে ভবন থেকে চলে যেতে দেখা যায় যুবলীগ নেতা আহসান হাবিবকে। আহসান হাবিব নিজেকে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তিনি উপজেলা যুবলীগের কেউ নন বলে দাবি করেছেন নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকক আনোয়ার হোসেন নকুল। নকুল বলেন, উপজেলা যুবলীগে আহসান হাবিবের কোন পদ পদবী নেই। কিছুদিন আগে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছিল, আহসান হাবিব সেই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এব্যাপারে আহসান হাবিবের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ইউএনওর কক্ষে আশ্রয় নিয়ে প্রানে বেঁচে যাওয়া গাড়ি চালক মোঃ রুবেল বলেন, কিছুদিন আগে আহসান হাবীব তার ভাই খোকনের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নেয়। কয়েকদিন ব্যবহার করলেও আহসান হাবীব সেই ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেননি। আজ মঙ্গলবার সকালে আহসান হাবিব উপজেলা চত্বরে এলে তার কাছে গাড়ি ভাড়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি হঠাৎ করেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় আহসান হাবিব তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাইনিজ কুড়াল এবং রামদা নিয়ে তাড়া করে। তিনি প্রাণভয়ে দৌড়ে গিয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। এই ঘটনার পর থেকে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, তিনি গাড়ি চালক রুবেলের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক সহ সিনিয়র অফিসারদের অবহিত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।