নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে মিরাক্কেল খ্যাত জনপ্রিয় কমেডিয়ান অভিনেতা আবু হেনা রনি’র উপস্থিতিতে তার দুই বন্ধুকে মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার গারিষাপাড়া অভিযান চালিয়ে মৃত্য হাকিম মোল্লার ছেলে আল আমিন(২৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে আবু হেনা রনি’র বন্ধু তহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লাসহ ৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, আবু হেনা রনি’র দুই বন্ধুকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করনে তার বন্ধু তহুরুল ইসলাম। শুক্রবার ভোর রাতে সাবলু মোল্লার প্রতিবেশী মৃত্য হাকিম মোল্লার ছেলে আল আমিনকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, মিরাক্কেলখ্যাত কমিডিয়ান অভিনেতা আবু হেনা রনি তার ৫ জন বন্ধুকে নিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈড় বাজারে অবস্থিত আনন্দ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। এসময় রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করার কারনে স্থানীয় চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লা ও তার সমর্থকরা রনি’র দুই বন্ধুকে মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ৭টার সময় উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে অবস্থিত আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর পৌরসভার গারিষাপাড়া মহল্লার মৃত্য জমিন মোল্লার ছেলে চাতাল ব্যবসায়ী মোঃ ছাবলু মোল্লাসহ ৫ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৫ থেকে ৭ জনের নামে রনি’র বন্ধু তহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মামলা দায়ের করেছিলেন। রনি’র সাথে থাকা আহত দুই বন্ধু মোঃ তহুরুল ইসলাম (৩৬) ও রাজু আহম্মেদ (৩৫) এর বাড়ি পাশ^বর্তী সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামে।
অভিনেতা আবু হেনা রনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আবু হেনা রনিসহ তার চারজন বন্ধু আনন্দ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার জন্য এসেছিলেন। তার বন্ধু রাজু আহম্মেদের প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশে পার্কিং করে তিনি সিনেমা হলের গেটের সামনে দাড়িয়ে তার বন্ধুদের সাথে গল্প করতে ছিলো। এসময় অপর একটি প্রাইভেটকার যোগে স্থানীয় চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লা এসে তাদের গাড়ি রাখা দেখে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আবু হেনা রনি’র বন্ধুরা ছাবলু মোল্লাকে গালাগালি করেত নিষেধ করায় ছাবলু মোল্লা গাড়ি থেকে নেমে তাদের উপর চড়াও হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে বাধা দিলে ছাবলু মোল্লা উত্তেজিত হয়ে মোবাইল ফোনে তার কিছু স্বজনদের ফোন দিয়ে ডাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল এসে তার বন্ধুদের মারধর শুরু করলে দুই বন্ধু পালাতে পারলেও তহুরুল ইসলাম ও রাজু আহম্মেদকে ধরে বেধরক মারপিট করে জখম করে এবং তার প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে।পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গুরুদাসপুর থানায় আসেন। এ ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয় আসারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত চাতাল ব্যবসায়ী ছাবলু মোল্লা বলেন,তিনি তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সিনেপ্লেক্সের পাশেই রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলেন ৪-৫ জন। হর্ন দিলেও তারা সাইড না দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে স্বজনদের ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। এরপর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিট শুরু হয়। তবে আবু হেনা রনিকে মারপিট করা হয়নি।