নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বনপাড়া পৌর গেটে ঘন্টাব্যাপি অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সড়কের উভয় পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে এগারটা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই অবরোধের ঘটনা ঘটে। পরে বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
স্থাণীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বনপাড়া পৌরসভায় হারোয় এলাকার বিবাদমান ঘটনা নিয়ে সকাল এগারটায় একটি সালিশ বৈঠকের সময় নির্ধারণ ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বৈঠক শুরুর আগেই হারোয়া এলাকার আবুল কালাম আজাদ ও মাসুদের নেতৃত্বে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে মেয়র কেএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের এক ছাত্র কর্তৃক কলেজ গেটের মা কনফেকশনারীতে হামলা চালিয়ে এর মালিক নাহিদুল ইসলাম রণিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ বিষয়ে রণির স্বজনরা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে মেয়র মিমাংশার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালিশ বৈঠকের সময় দেন। সেই সালিশে এসে রোববার আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, হারোয়া এলাকার আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকে। আবারও তারা একই কান্ড ঘটিয়েছে। তাই শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে অবরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সকলকে অবহিত করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।