নাটোর অফিস॥
বকেয়া গ্র্যাচুইটি ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধার অর্থ প্রদানের দাবীতে নাটোর ও লালপুরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে । বুধবার পৃথকভাবে চিনিকল দুটিতে বিক্ষোভ মিছিল করে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা চিনিকল গেট এলাকায় এক সমাবেশ করে। নাটোর চিনিকল চত্বরে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাটোর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যান পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলু, নাটোর সুগার মিলস্ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মাইনুল হকসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন দীর্ঘদিন ধরে তারা এই দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কিন্তু দাবীগুলো পূরনে এখনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নাটোর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ৪৩০ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা ২০১৪ সাল থেকে প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি বাবদ ৩৪ কোটি টাকা ও ৩০০ জনের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিনা চিকিৎসায় ইতিমধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। অনেকে জটিল রোগে ভুগছেন এবং ছেলেমেয়েদের লোখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতি দ্রুত তাদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয় টাকা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার টাকা পরিশোধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীরা। বুধবার (০৭ জুন) সকালে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাল্যান সমিতির আয়োজনে মিলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতকানার নিকট স্মারক লিপি জমা দেয় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীরা। এসময় বক্তব্য দেন নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুঞ্জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন, অবসরপ্রাপ্ত কল্যান সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক শরিফউদোলা জান্টু, স্বপন পাল প্রমুখ। বক্তারা জানায়,বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করর্পোরেশনের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা অবসরে গেলেও তাদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার টাকা পরিশোধ করা হয় নি। ফলে তারা মানবেতার জীবনযাপন করছে। প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি আদায়ের দাবীতে এই গেইট মিটিং করছে তারা।’