নাটোর অফিস ॥
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রেস বলেছেন ,প্রেস কাউন্সিল পাওয়ার লেস, প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের বিচার করা সম্ভব না। নতুন আইন পাস হলে অপসাংবাদিকতা দুর করা সম্ভব হবে। বর্তমান সরকার প্রেস কাউন্সিল আইনকে যুগোপযোগী এবং আরো কার্যকর করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। আইন সংশোধনে প্রেস কাউন্সিল প্রস্তাবনা দাখিল করেছে সরকারের কাছে। আশাকরি খুব দ্রুত এই আইন সংসদে অনুমোদন হবে।
নাটোরে প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ’ বিষয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম এসব কথা বলেন। বুধবার সকালে নাটোর সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করে ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। সাংবাদিকদের স্বার্থে এই আইন এশিয়ার মধ্যে সবচে’ প্রাচীন। তিনি সাংবাদিকদের জন্যে অত্যন্ত সম্মানজনক ওয়েজবোর্ড গঠন করেন। তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিল আইন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমের মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে দেশ ব্যাপী সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরী করছে। পেশার উৎকর্ষতা সাধনে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সুনিদিষ্টকরণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করা হবে। এই ডাটাবেজ ভুয়া সাংবাদিক তৈরীর প্রবণতা রোধ করবে।
বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম আরো বলেন, অনলাইনভিত্তিক মিথ্যাচার প্রতিরোধে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট এর প্রয়োজন আছে। তবে এই আইনের অপব্যবহার রোধ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ মাসুদ খান। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাছুদুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আলী, নাটোর থানার ওসি মোহাম্মদ নাছিম প্রমুখ।
সভায় নাটোরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়।