নাটোর অফিস ॥
নাটোরের নলডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে। নলডাঙ্গা থানায় এসংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার রাতে নির্যাতিত পরীক্ষার্থীর চাচা এস এম মোতাব্বের বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র সুত্রে জানাযায় গত ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বীরকুৎসা বাজারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মন্টুর ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে এই যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী। অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মন্টু (৪০) দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রহিম সরদারের ছেলে এবং খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওর্য়াড সদস্য এবং খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত (১০ এপ্রিল) বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নির্যাতিত বাড়ি থেকে বের হয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার জন্য নলডাঙ্গা সদরে আসার সময় বীরকুৎসা বাজারে অটোরিক্সার জন্য দাড়িয়ে ছিল। এসময় ইউপি সদস্য ও খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমজাদ হোসেন মন্টু তার নিজ কার্যালয়ের ভিতরে ডেকে নিয়ে মেয়েটির মুখের মাক্স খুলে জোর করে চুমু খায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। পরে মেয়েটি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারে সদস্যদেরকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জেনে পরীক্ষার্থীর চাচা এস এম মোতাব্বের বাদী হয়ে শনিবার রাতে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু তার নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এঘটনায় ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ১৩ এপ্রিল রাতে আমজাদ হোসেন মন্টুকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।