নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যানের ধাক্কায় মাইশা খাতুন (০৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার সে নবীনগর (কবিরাজপাড়া) গ্রামের মুদির দোকান ব্যবসায়ী মো. মোবারক হোসেনের মেয়ে ও নবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
মঙ্গলবার (০৯ মে) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নবীনগর (কবিরাজপাড়া) নামক স্থানে অটো ভ্যান তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয় মাইশা।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নবীনগর (কবিরাজপাড়া) নামক স্থানে বাড়ির সামনে লালপুর-ঈশ্বরদী রাস্তা পার হয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে শিশু মাইশা খাতুনকে একটি ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যান ধাক্কা দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মাইশাকে সাময়িক চিকিৎসা শেষে পেটের আলট্রাসনোগ্রামের জন্য প্রেসক্রিপশন করে দেন। পরিবারের লোকজন তাকে গোপালপুর আনোয়ার জেনারেল হাসপাতাল থেকে আলট্রাসনোগ্রাম করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর হঠাৎ বেলা দেড়টার দিকে মাইশার শারীরিক অবস্থা আবরো অবনতি হলে পুনরায় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সোহেল রানা বলেন, মাইশা খাতুন (০৯) নামের এক শিশুকে আহত অবস্থায় হাসপালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। এসময় প্রাথমিকভাবে তার ডান হাত ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। কপালে আঘাতের কারণে সেলাই দেওয়া হয়। সে সময় পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করার কথা বলায় আলট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভ্যানের চাকা পেটের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ক্ষত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর দেড়টার দিকে তাকে পুনরায় হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সে মারা যায়।
মাইশার বাবা মুদিদোকান ব্যবসায়ী মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত চার্জার ভ্যান আমার মেয়েটার জীবন কেড়ে নিল। আমাকে আর বাবা বলে ডাকবেনা । আর স্কুলে যাবে না মাইশা।’
লালপুর থানার (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি । অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।