নাটোর অফিস॥
ছোটবেলা থেকেই ভালোকিছু করার স্বপ্ন দেখতেন ফায়েজুদ্দিন তপু । স্বপ্ন পূরণও হয়েছে বেশ কয়েকটি।
যুক্তরাজ্যের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার পর ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে এমএসসি ডিগ্রী লাভ করে । এবার আরো একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তার। এবার তিনি ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের ছেলে ফায়েজুদ্দিন তপু নিজেই। সে নাটোর শহরের চকরামপুর এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তুহিন মটরসের সত্বাধিকারী ফকরুদ্দিন তুহিন এবং গৃহিনী তাহমিনা খাতুনের একমাত্র ছেলে ।
চাকরি খবর নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘ওয়ারইউক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়া অনেকটা স্বপ্নের মত, সারাজীবনের জন্য বিশাল সম্মান। আমার ইউনিভার্সিটি তে সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে লেকচারার পদ খালি ছিল কিছু না ভেবেই আবেদন করেছিলাম আজকে আমার প্রফেসর ফোন করে বললো, ‘তপু মাই সান, ইউ আর মাই কলিগ ফ্রম টুডে’।
এদিকে ফায়েজুদ্দীন তপুর শিক্ষক হওয়ার খবরে তার সাবেক বিদ্যাপীঠ নাটোর সরকারী বালক বিদ্যালয় ও নাটোরের নবাব সিরাজ উদ দৈৗলা সরকারী কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিজ স্কুল ও কলেজের অগ্রজ দেশের বাহিরে উন্নত রাষ্ট্রে শিক্ষক হতে যাচ্ছেন এটা অনেক গর্বের বিষয়। যুক্তরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের খ্যাতি বিশ্বখ্যাত।শতাব্দীসম প্রাচীন ঐতিহ্যের উপর নির্মিত এবং শিক্ষার প্রতি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিই যুক্তরাজ্যের যে ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিতরে জায়গা করে নিয়েছে তাদের মধ্যে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় একটি।
জানতে চাইলে ফায়েজুদ্দীন তপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়া অনেকটা স্বপ্নের মত। সারাজীবনের জন্য বিশাল সম্মান। আমার সব সাফল্যের পেছনে রয়েছে আব্বু-আম্মুর দোয়া, ভালোবাসা, আমার ছোটবোনদের পরিশ্রম আর আশেপাশের সবার দোয়া ভালোবাসা।
তপু আরো বলেন, সেই ছোটবেলা থেকে অনেক স্বপ্ন দেখে আসছি। অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আসলে অগণিত মানুষ আমাকে ভালোবাসে, আমার জন্য দোয়া করে।
বাংলাদেশে পড়াশোনা শেষ করে ২০১৭ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তপু । তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য্রে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গেও স¤পৃক্ত তিনি। সম্প্রতি নিজের সাবেক বিদ্যাপীঠ নাটোর সরকারী বালক বিদ্যালয় ও এন এস সরকারী কলেজের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেছেন স্কলারশিপ।